৩২১ রান করেও বাংলাদেশের হার, হজম করতে পারছেন না ফারুক
ছবি: বাংলাদেশের হারে হতাশ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস দ্রুত ফিরলেও সৌম্য সরকার ও মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। যদিও তারা দুজনই সাজঘরের পথে হেঁটেছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। পরবর্তীকে সফরকারীদের পুঁজি ৩২১ করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক। তারা দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখাও।
এমন পুঁজি পাওয়ার পর বোলিংয়েও শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যখন ১৪.১ ওভারে ৮৬ রান ততক্ষণে ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, শাই হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ডকে বিদায় করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদরা। ছন্দে থাকা ব্যাটারদের ফিরিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। তবে সব দৃশ্যপট পাল্টে গেছে কেসি কার্টি ও আমির জাঙ্গুর শতরানের জুটিতে।
কার্টি ৯৫ রানে ফিরলেও অভিষিক্ত আমির অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছেড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়ে। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন গুড়াকেশ মোতি। ১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারা বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশও হতে হয়েছে। এমন হারে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আমার মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই এরকম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন আমাদের কাছে ১১টা ম্যাচ হেরেছে তখন নিশ্চয় আমাদের চেয়ে ওদের হতাশাটা বেশি ছিল। আমি তাও বলতে চাচ্ছি প্রথম দুই ম্যাচ ঠিক আছে ভিন্ন উইকেট। ওরা এই উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। ওইটা আমার কাছে মনে হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু কালকের ম্যাচটা হজম করা কঠিন, আমরা জিততে পারলাম না।’
ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশের বোলিং নিয়েও আক্ষেপ করেছেন ফারুক। বোর্ড প্রধান বলেন, ‘আপনি উইকেট দেখুন, আমার মনে হয় এই উইকেটে বোলিং কিছুই হচ্ছিল না। এর মধ্যে একটা-দুইটা গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ হয়ত আমরা ছেড়েছি। আমিও চিন্তা করিনি কালকের ম্যাচটা হারব। আমরা আমাদের সবচেয়ে শক্তির জায়গায় পারিনি। যদিও আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলছি বুঝতে হবে। আমাদের ওই বেশিরভাগ ম্যাচগুলো হয়ত ঢাকায় কিংবা অন্য কোথাও খেলেছি।’