|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর থেকেই টেস্টে সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। সাদা পোশাকের মতো ভারত সফরে টি-টোয়েন্টিতেও বিবর্ণ ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টের ব্যস্ততায় ওয়ানডে ক্রিকেটের কথা যেন ভুলেই যেতে বসেছিলেন সমর্থকরা। ৮ মাসের অপেক্ষার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ফেরে নিজেদের পছন্দের সংস্করণে। তবে চিরচেনা সংস্করণেও সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
প্রথম ওয়ানডেতে একটা সময় অনায়াসে জিততে যাওয়া বাংলাদেশ মোহাম্মদ গাজানফারের রহস্যময় স্পিনে জালে আটকে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য শান্ত, জাকের আলী, নাসুম আহমেদের কল্যাণে সিরিজে ফেরে বাংলাদেশ। চোটের খবর সঙ্গী করে অলিখিত ফাইনালে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল প্রত্যাশিতভাবেই। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে পঞ্চাশ পার করা জুটি এনে দিলেও হঠাৎ আসা ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় সফরকারীদের ব্যাটিং অর্ডার।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে বিপদ কাটিয়ে ২৪৪ রানের পুঁজি পেলেও তা কাজে আসেনি। রহমানুল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পেয়েছে আফগানিন্তান। বাংলাদেশকে হারিয়ে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে গেছেন রশিদ খানরা। পুরো সিরিজে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারলেও হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভালো খেলেছে।
মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাশার বলেন, ‘সিরিজটা কিন্তু আমাদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। অবশ্যই, আফগানিস্তান এই মাঠে খেলে খুব অভ্যস্ত, এটা তাদের ঘরের মাঠ। এর আগে কয়েকটা সিরিজ তারা খেলেছে। আমাদের আসলে বড় একটা উদ্বেগ ছিল কয়েকটা ইনজুরির সমস্যা নিয়ে খেলতে হয়েছে। তাসকিনকে আমরা মিস করেছি, মুশফিককে মিস করেছি, আমরা অধিনায়ক শান্তকে আমরা মিস করেছি। যদিও ব্যাটিংটা বেশ ভালোই হয়েছে আমাদের। এই কন্ডিশনে আমাদের প্রত্যাশা হয়ত এমনই ছিল।’
সিরিজ হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারার আক্ষেপ করেছিলেন মিরাজ। সংবাদ সম্মেলনে এসে ফিল সিমন্সও প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন। শারজাহর স্পিন সহায়ক উইকেটে মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারাকে দায় দিচ্ছেন বাশারও। স্পিনার ভালো বোলিং করলেও গুরবাজরা সুযোগ না দেয়ায় আফগানদের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
বাশার বলেন, ‘বোলিংয়ে যেটা হয়েছে এখানে স্পিন ট্র্যাক, স্পিনাররা খুব ভালো বোলিং করেছেন। কিন্তু তারা মাঝখানে যদি আরও একটু বেশি উইকেট নিতে পারত তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। চ্যালেঞ্জিং সিরিজ কিন্তু বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচ ছাড়া বাকি দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ ভালোই খেলেছে। তিনটা ম্যাচেই কিন্তু বাংলাদেশের জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।’
‘প্রথম ম্যাচে আরও বেশি জেতার অবস্থায় ছিল। গত ম্যাচে আমার মনে হয় আফগানিস্তান খুব ভালো খেলেছে। তারা খুব পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করেছে, আমাদের স্পিনারদের কোন চান্স দেয়নি। তারা জানতেন হয়ত এখানে পেস বোলাররা ওতটা সুবিধা পাবেন না। আফগানদের ব্যাটিং পরিকল্পনা ভালো ছিল, আমি ওদেরকে একটু কৃতিত্ব দিতে চাই।’