|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাইম শেখের পর আইচ মোল্লা, হাফ সেঞ্চুরিয়ান গাজী তাহজিবুল ইসলাম ও আরিফ আহমেদকে ফেরালেন শুভাগত হোম চৌধুরি। বল হাতে ৪ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়েও ঝলক দেখালেন ঢাকার অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। নাজমুল ইসলাম অপুর সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়া শুভাগত অপরাজিত ৬০ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ঢাকার পুঁজি ৬ উইকেটে ২৫৪ রান। ঢাকা মেট্রোর চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন সকালে অপুকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন শুভাগত।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ঢাকার মেট্রোর ৩০৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন আশিকুর রহমান শিবলি। পেসার আবু হায়দার রনির বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা তাহজিবুলকে ক্যাচ দিয়েছেন তরুণ এই ওপেনার। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম তিন রাউন্ডে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করা আশিকুর এবার ফিরেছেন মাত্র ১১ রানে।
তিনে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি জয়রাজ শেখও। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আরিফের বলে বোল্ড হয়েছেন ১৮ রান করা এই ব্যাটার। ৫১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঢাকাকে এগিয়ে যেতে থাকেন রনি তালুকদার ও তাইবুর রহমান। তারা দুজনে মিলে গড়েছেন ৫৪ রানের জুটি। তাইবুরকে ফিরিয়ে জমে ওঠা জুটি ভাঙেন আইচ। তরুণ এই বোলারের বলে নাইমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৫ বলে ৩৯ রান করা তাইবুর।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরার আগে ২০ রান করেছেন মোসাদ্দেক। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার রনি। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। রাকিবুলের বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১২২ বলে ৫৪ রান করেছেন রনি। ১৬৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শুভাগত ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ঢাকাকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন।
সম্প্রতি জাতীয় দলের হয়ে খেলে আসা অঙ্কন তৃতীয় রাউন্ডে ফিরেই ৯৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অঙ্কন ফিরেছেন মাত্র ১৬ রানে। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শুভাগত ও অপু। শেষ বিকেলে তারা দুজনে মিলে ৫০ বলে ৬১ রান যোগ করেছেন। মেট্রোর হয়ে রাকিবুল দুটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার, আরিফ ও আইচ।
এর আগে সকালের শুরুতে ৬ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মেট্রোর দুই ব্যাটার তাহজিবুল ও আবু হায়দার। তাদের দুজনের জুটি অবশ্য খুব বেশি বড় হতে দেননি এনামুল হক। তরুণ পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৬ রান করা রাকিবুল। একেবারে দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকা তাহজিবুল হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৫৬ বলে। তার ব্যাটেই মূলত তিনশ পার করে মেট্রো। চারটি করে উইকেট পেয়েছেন এনামুল ও শুভাগত।