আইপিএল

ভেঙ্কেটেশের ব্যাটিংয়ের পর কলকাতাকে জেতালেন বরুণ-স্টার্করা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:54 শুক্রবার, 03 মে, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জসপ্রিত বুমরাহ ও নুয়ান থুসারার দারুণ বোলিংয়ের পরও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পথ দেখিয়েছিলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার বেং মানিষ পাণ্ডে। তাদের দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানে থেমেছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। মুম্বাইয়ের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে লক্ষ্য তাড়াটা সহজই হওয়ার কথা ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দলের জন্য। তবে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের সামনে খাবি খেয়ে বসলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটাররা। স্পিনের পাশাপাশি স্বাগতিকদের চেপে ধরেছেন আন্দ্রে রাসেল ও মিচেল স্টার্ক। তাদের দারুণ বোলিংয়ের মাঝেও মুম্বাইকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং টিম ডেভিড। তাদের প্রচেষ্টার পরও ঘরের মাঠে ২৪ রানে হারতে হয়েছে মুম্বাইকে।

ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে ১৭০ রান তাড়ায় মুম্বাইয়ের শুরুটাও হলো কলকাতার মতোই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইশান কিশানকে ফিরিয়ে কলকাতাকে উইকেট এনে দেন স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৭ বলে ১৩ রান করা ইশান। তিনে নেমে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও নামান ধীরকে ইনিংস বড় করতে দেননি বরুণ। ডানহাতি এই রহস্যময় স্পিনারের লেংথ ডেলিভারিতে আড়াআড়িভাবে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন নামান। ফিরেছেন ১১ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে।

ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রোহিত শর্মাও। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে নারিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মানিষ পাণ্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১১ রান করা এই ওপেনার। মুম্বাইয়ের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে ফিরেছেন তিলক ভার্মা, নেহাল ওয়াদেরা এবং হার্দিক। তাদের তিন জনের বিদায়ে আরও বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারানো মুম্বাইকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার ও ডেভিড।

তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সূর্যকুমার ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। রাসেলের বলে ফাইন লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার ফিল সল্টকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা সূর্যকুমার। ১৯তম ওভারে গিয়ে ফিরেছেন ২৪ রান করা ডেভিডও। যার ফলে শেষ পর্যন্ত আর জয় পাওয়া হয়নি মুম্বাইয়ের। কলকাতার হয়ে এদিন বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন নারিন, বরুণ, স্টার্ক এবং রাসেল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ছন্দে থাকা কলকাতার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই থুসারার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে পয়েন্টে থাকা তিলকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ফিল সল্ট। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা ইংলিশ এই ওপেনার ফিরেছেন মাত্র ৫ রানে। তিনে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন অংক্রিশ রঘুবংশী। থুসারার অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে কভার দিয়ে খেলতে গিয়ে সূর্যকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।

একই ওভারে ফিরেছেন শ্রেয়াসও। লঙ্কান এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিড অনে থাকা টিম ডেভিডের হাতে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরেছেন সুনীল নারিনও। হার্দিকের লেগ স্টাম্পে করা লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। যদিও আগের বলে কোমড়ের ওপরে থাকায় স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন নারিন। বাঁহাতি এই ওপেনারকে এদিন ফিরতে হয়েছে ৮ রানে। পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কলকাতা।

দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন রিংকু সিং। পিয়ুষ চাওলার ঝুলিয়ে ডেলিভারিতে মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আইপিএলের এবারের আসরে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না রিংকুর। কদিন আগে ঘোষিত ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৫ উইকেট হারানোর পর কলকাতার হাল ধরেন ভেঙ্কেটেশ ও মানিষ। তারা দুজনে মিলে কলকাতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৩ রান। হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকলেও ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন মানিষ। ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন রাসেল, রমনদীপ সিংরা। সবশেষ ব্যাটার হিসেবে ভেঙ্কেটেশ ৫২ বলে ৭২ রানে আউট হলে ১৬৯ রানে থামতে হয় কলকাতাকে। মুম্বাইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন থুসারা ও বুমরাহ। বাকিদের মাঝে হার্দিক দুটি এবং চাওলা নিয়েছেন একটি উইকেট।