|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চমৎকার ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন আভিশকা ফার্নান্দো এবং কুশল মেন্ডিস। সঙ্গে চারিথ আসালঙ্কাও খেললেন ঝড়ো ইনিংস। পরে বল হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন দিলশান মাদুশাঙ্কা, মাহিশ থিকশানারা। তাদের হাত ধরেই জয় পেল শ্রীলঙ্কা। ডাম্বুলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৪৫ রানে জিতল লঙ্কানরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ১০ বলে ১২ রানে ফিরে যান লঙ্কান এই ওপেনার। এরপর ২০৬ রানের জুটি গড়েন আভিশকা এবং মেন্ডিস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে এটি লঙ্কানদের সর্বোচ্চ জুটি।
তিন বছর পর ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইস সোধির বলে বিদায় নেন আভিশকা। চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসে ১১৫ বলে দুটি ছক্কা ও নয়টি চার মারেন এই ওপেনার। একাদশ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন মেন্ডিসও।
দলকে তিনশ'র কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ১২৮ বলে ১৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ১৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। শেষদিকে ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন আসালঙ্কা। ৪৯.২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ৩২৪ রানে। কিউইদের হয়ে ৪১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি
বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি এমনিতেই দেরিতে শুরু হয়। শেষ ওভারে আবারও বৃষ্টি নামলে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে সেখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭ ওভারে ২২১ রানের।
লম্বা বিরতির পর রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই করে কিউইরা। উইল ইয়াং ও অভিষিক্ত টিম রবিনসনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৮ রান। দুই ওপেনারকে একই ওভারে বিদায় করে দেন মাহিশ থিকশানা।
চারটি চারে ৩৫ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন রবিনসন। আটটি চারে ৪৮ রান করা ইয়াং হন বোল্ড। হেনরি নিকোলস, মার্ক চ্যাপম্যান ও গ্লেন ফিলিপস দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারায় লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি কিউইরা। ২৭ ওভারে নয় উইকেটে ১৭৫ রান করে তারা।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে ৫ চারে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রেসওয়েল। লঙ্কানদের হয়ে ৩৯ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মাদুশাঙ্কা। ৩২ রান খরচায় দুই ওপেনারকে ফেরান থিকশানা। ১৫ রান খরচায় দুই উইকেট নেন আসালঙ্কা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।