|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ইডেন গার্ডেনে হওয়া দিবারাত্রির টেস্টের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর খেলা হয়নি ইমরুল কায়েসের। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। সেই সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ব্যাট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন।
ইমরুল খেলছেন চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল)। তবে বুধবার হুট করেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তিনি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও আর খেলবেন না তিনি। সব মিলিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না তাকে।
এর মধ্যে দিয়েই ইমরুলের শেষের শুরুটা হয়ে গেছে। পাকাপাকিভাবে ক্রিকেট ছেড়ে দিলে কী ব্যবসাতেই মন দেবেন ইমরুল নাকি ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকবেন ভিন্ন কোনো ভূমিকাতে। এমন প্রশ্নই যেন ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। ইমরুল ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিজের অবসর পরবর্তী ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
তার ইচ্ছে ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে। এজন্য অস্ট্রেলিয়া লেভেল থ্রি প্রশিক্ষণ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই অস্ট্রেলিয়াতে নিয়মিত যাতায়াত করছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই বছর আগে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দাও হয়ে গেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইমরুল বলেন, 'আমি ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী। আমি দুই বছর ধরে সেখানকার রেসিডেন্ট। আমি আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকি। ক্রিকেট ছাড়ার পর সেখানেই বেশি থাকার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি সেভাবেই পরিকল্পনা করছি।'
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সুবাদে অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের সঙ্গেই সখ্যতা রয়েছে ইমরুলের। বিশেষ করে শেন ওয়াটসনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বেশ ভালো তার। এবার দুজনে মিলে অস্ট্রেলিয়ায় একাডেমী বানানোর পরিকল্পনা করেছেন। সেখানে সরাসরি যুক্ত থাকবেন ওয়াটসন এমনটাই নিশ্চিত করেছেন ইমরুল।
নিজের স্বপ্নের একাডেমী নিয়ে ইমরুল বলেছেন, 'অনেক বড় বড় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আমি এবং শেন ওয়াটসন একটি একাডেমী তৈরি করার চেষ্টা করছি। ও সেখানে যুক্ত থাকবে সব মিলিয়ে আমি মনে করি ভালো একটি উদ্যোগ হবে এটি।'
দেশের ক্রিকেটের জন্য আর বিশ্ব জুড়ে পরিচিত ইমরুল। ক্যারিয়ার শেষে অস্ট্রেলিয়াতে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও দেশের ডাকে সবসময় সাড়া দিতে প্রস্তুত এই ওপেনার। দেশের হয়ে কোচিং বা অন্য কোনো ভূমিকায় কাজ করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবেন তিনি।
ইমরুল বলেন, 'দেশ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, দেশের ক্রিকেট আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। আমি দেশের ক্রিকেটের প্রতি ঋণী। আমি যদি কখনও দেশের ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারি তাহলে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করব। আমি ক্রিকেটিং ক্যারিয়ারে যতটা পারিনি। অন্য জায়গায়, হয়তবা কোচিং পেশায় এসে আমি নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমি অস্ট্রেলিয়ায় যাবো এজন্য সেখানে আমি লেভেল থ্রী (কোচিং প্রশিক্ষণ) করব। ভালো অ্যাকাডেমীর অধীনেই আমি অনুশীলন করাবো।'