|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তার মূল কাজ হবে বিদেশি কোচদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যোগাযোগের পথ মসৃণ করা। যাতে করে ক্রিকেটাররা আরও ভালোভাবে নিজেদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। জাতীয় দলে প্রধান কোচের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ধরা হয়।
সালাহউদ্দিন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের দর্শন মেনেই কাজ করতে চান। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে চান এই কোচ। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও কাজ করবেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেশ ভালোভাবেই চেনেন সালাহউদ্দিন। ক্রিকেটাররাও তার সঙ্গে কাজ করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এবার সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন বলেন, 'যেহেতু আমি সহকারী কোচ, আমার মনে হয় যে যেহেতু হেড কোচ আছে এখানে। তার দর্শনটা আমাকে আসলে...সে কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাহায্য করা যতুটুকু পারি। আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।'
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই কোচ আরও বলেছেন, 'চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব।'
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের কাজ শুরু করবেন সালাহউদ্দিন। তবে এর আগেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। অনেকেরই দাবি ছিল সালাহদ্দিনকে যেন জাতীয় দলে যোগ করা হয়।
এবার ভক্ত সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। সালাহউদ্দিন চান সবার প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে। সালাহউদ্দিন বলেন, 'অনূভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করব যেন মানুষ আমাকে ভালোবাসছে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেওয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।'