|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘হাইব্রিড’ মডেলেই হচ্ছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি! সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এমন খবর প্রকাশের পর মহসিন নাকভি ভারতকে খানিকটা হুমকিই দিয়েছিলেন। লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান অনেক সৌজন্য দেখিয়েছে। তবে যাই হোক, আমরা তো সব সময় সৌজন্য দেখাব না।’ নাকভির এমন হুমকির এমন কথার পর কয়েক ঘণ্টা পর ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হলেও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ভারতের মাটিতে খেলে এসেছে পাকিস্তান। তবে লম্বা সময় ধরেই পাকিস্তানের মাটিতে খেলার সুযোগ মিলছে না ভারতের। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কল্যাণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে খেলার সুযোগ তৈরি হলেও তা নিয়ে চলছে টালবাহানা। মানুষের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন আইসিসির টুর্নামেন্ট খেলতে ভারত কি পাকিস্তানে যাবে?
এমন প্রশ্নের উত্তর জানা নেই খোদ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছেও। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময় ঘনিয়ে আসায় ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে লিখিত উত্তর চেয়েছে পিসিবি। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পিসিবির চাওয়া অনুযায়ী লিখিত উত্তর দিয়েছে ভারত। যেখানে আইসিসির পাশাপাশি পাকিস্তানকেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাবর আজমদের দেশে যাবেন না বিরাট কোহলিরা।
মূলত ভারত সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিসিআইকে। এমনটা হলে সবশেষ এশিয়া কাপের মতো এবারও ভারতের ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের বাইরে। যেখানে ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে শারজাহ ও দুবাইকে। যেখানে নাকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা হাইব্রিড মডেলের পক্ষে নয়। এমন অবস্থায় বড় বিপাকেই পড়তে হচ্ছে আইসিসিকে। কারণ আয়োজক হিসেবে সবগুলো ম্যাচই নিজেদের মাটিতে করতে চায় পাকিস্তান।
বিপরীতে ভারতের চাওয়া নিজেদের সবগুলো ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এমন যখন অবস্থা তখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে ১০ নভেম্বর পাকিস্তান সফর করবে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল। ধারণা করা হচ্ছে, ১১ নভেম্বর প্রকাশিত হতে পারে টুর্নামেন্টের সূচি।
প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, ৮ দলের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ৯ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।