|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গুঞ্জন আছে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই অধিনায়কত্ব ছাড়বেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইনিংস হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন শান্তই। হতে পারে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার শেষ সংবাদ সম্মেলন। আবার নাও হতে পারে।
যদিও শান্ত জানিয়েছেন অধিনায়কত্ব তার পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলছে না। উল্টো অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন বলে জানিয়ে সবাইকে ধোঁয়াশায় ফেলে দিয়েছেন তিনি। শান্ত বয়সভিত্তিক দল থেকেই নিয়মিত অধিনায়কত্ব করছেন।
বিপিএলেও তাকে অধিনায়কত্ব করতে দেখা যায়। গত কয়েকটি সিরিজে বাংলাদেশ দলের অনেক উত্থান পতন হয়েছে। সেখানেও নিজের অধিনায়কত্ব উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় আমার কাছে একবারও মনে হয়নি আমি অধিনায়ক। অধিনায়ক বলে সব আমাকে একা করতে হবে, এমন নয়। আমি বল দেখি ব্যাটিং করি, ব্যাটিং উপভোগ করি। এখন পর্যন্ত চাপ হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।’
শান্ত আরও যোগ করেছেন, ‘বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই অনেক জায়গায় বলে আসছি, অধিনায়কত্ব আমি সব সময় উপভোগ করি। গত কয়েকটা সিরিজও মাঠের ভেতরে আমি উপভোগ করেছি। এটা সব সময়ই আমার ভালো লাগার জায়গা।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হারের পেছনে ব্যাটারদের দায় দেখছেন শান্ত। দলের ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে নিজেও হতাশ শান্ত। জানিয়েছেন উন্নতির অনেক জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো শেষ দুই সিরিজে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল।
উন্নতির আশ্বাস দিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘এটা তো অবশ্যই খুবই হতাশাজনক। এগুলো থেকে বোঝা যায় আমাদের কত উন্নতির জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছি। মাঠে, মাঠের বাইরে অনেকগুলো জায়গা আছে, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
শান্ত আরও বলেন, ‘লম্বা সময় ধরেই এ রকম হচ্ছে। টেস্টে টপ অর্ডার থেকে যদি জুটি না হয়, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন। ওপরে যারা ব্যাটিং করে, তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরনের প্রস্তুতি নেয়, আমি জানি না। তবে এভাবে চলতে থাকলে এ রকম ফলাফলই হবে।’
শান্তর ধারণা দক্ষতা এবং মানসিকতা—দুই জায়গাতেই কমতি আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। উন্নতির জায়গা বের করার তাগিদ দিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘দক্ষতার অনেক জায়গা আছে, যেখানে উন্নতি করতে হবে। পাশাপাশি চিন্তাভাবনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। কোন জায়গায় উন্নতি দরকার, এটা খুঁজে বের করতে হবে।’
মাঠের বাইরেও বাংলাদেশ দলকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। একে একে অবসর নিচ্ছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। বোর্ডেও এসেছে পরিবর্তন। পরিবর্তনের হাওয়ায় বদলে গেছে প্রধান কোচও। শান্ত মনে করেন এগুলো বাজে পারফরম্যান্সের অজুহাত হতে পারে না।
প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘এগুলো প্রভাব ফেলতে পারে। তার মানে এই নয় যে এত খারাপ খেলব, এক শ-দেড় শ রানে অলআউট হয়ে যাব। খেলোয়াড়দের এই জিনিসগুলোও মানিয়ে নিতে হবে।’