বাংলাদেশ - সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

ব্যাটারদের স্কিলে ঘাটতি দেখেন না মুশতাক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 21:14 Wednesday, October 30, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

তাইজুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে টেস্টে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করেছেন উইয়ান মুল্ডার। নন স্ট্রাইক প্রান্তে সেনুরান মুথুসামি ৭০ রানে অপরাজিত থাকলেও মুল্ডার তিন অঙ্কে পৌঁছাতেই ড্রেসিং রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মাঠ ছেড়ে আসার ইঙ্গিত দিলেন এইডেন মার্করাম। সাউথ আফ্রিকার অধিনায়কের এমন ইশারায় ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে থামল সফরকারীরা। শেষ বিকেলে বাংলাদেশের কয়েকটা উইকেট তুলে নিতেই মার্করামের এমন সিদ্ধান্ত সেটা অন্তত বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়।

সাউথ আফ্রিকার পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে। দিনের খেলা শেষ করতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মিনিট চল্লিশ উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হতো। প্রথম দুদিনের বেশিরভাগ সময় ব্যাটিং স্বর্গে বনে যাওয়া জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট যেন ক্ষণিকের মাঝে চেহারা বদলে ফেলল। কাগিসো রাবাদার, ড্যান পিটারসেন, কেশভ মহারাজদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা।

ইনিংসের প্রথম বলেই সাদমান ইসলামের বিপক্ষে আবেদন করলেও বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম বলেই বাংলাদেশের ওপেনারকে সাজঘরে পাঠান রাবাদা। ব্যাটিং ব্যর্থতার শুরুটা সেখানেই। পরবর্তীতে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা হাসান মাহমুদ। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও ধুঁকছে বাংলাদেশ। মাত্র ৪০ মিনিট উইকেটে টিকে থাকতে না পারলেও ব্যাটারদের স্কিলে ঘাটতি দেখছেন না মুশতাক আহমেদ।

বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আপনি বলছেন স্কিলের ঘাটতি আছে, এটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। মনে হয় আমাদের আরও ধৈর্য্যশীল হতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেটা আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। এটা ৪০ মিনিট সার্ভাইভ করার ব্যাপার। লেগ সাইডে আউট হওয়াটা সাদমানের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই জায়গাগুলোতে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’

পাকিস্তান সফরে সিরিজ জিতলেও ভারতে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের একটিতেও বলার মতো লড়াই করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। ঘরের মাঠে মিরপুর টেস্টেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার কিংবা বোলাররা প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেটা করতে পারেননি। মুশতাক অবশ্য ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখেন না। তবে গেইম অ্যাওয়ারনেসের অভাব দেখছেন তিনি।

মুশতাক বলেন, ‘আমার মনে হয় না আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের প্রক্রিয়ার ঘাটতি। এটা পুরোটাই গেইম অ্যাওয়ারনেস। কখন বল ছাড়তে হবে কখন আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমাকে এই পাঁচ ওভার খেলতে হবে, এরকম মানসিকতা লাগবে। তাদেরকে পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে।’

বাংলাদেশ কেন পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আরও একটা ভালো প্রশ্ন। সঠিক প্রশ্নই করেছেন। একদিন একটা গাছ বড় করতে পারবেন? প্রতিদিন পানি দিতে হয়, মালি হিসেবে এই বিশ্বাসটা রাখতে হয়। কখনও কখনও কোচ হিসেবে প্রথমে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। একদিনেই আপনি একটা গাছ বড় করতে পারবেন না। এখন হোক কিংবা পরে এটা আপনাকে দেখাবে আপনি কতটা ছায়া এবং ফল দিতে পারবে।’