টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নজরে রাখবে বিগ ব্যাশের দলগুলো: অ্যান্ডি বিকেল
|| ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আবিদ মোহাম্মদ ||
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তেমন লম্বা নয়। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে অ্যান্ডি বিকেলের নাম জড়িয়ে আছে ক্রিকেটার তৈরির কাঠামোতে। অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে রয়েছে তার নামে একটি জিমও। তাছাড়া ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যও যে সাবেক এই পেস বোলার। সেই বিশ্বকাপটা অসাধারণই কেটেছিল তার তিন ইনিংসে ১১৭ রান করার পাশাপাশি আট ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সাত উইকেট শিকারের ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল।
২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলা বিকেল এখন কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সাল থেকে কুইন্সল্যান্ড বুলসের কোচিং প্যানেলের সঙ্গে আছেন তিনি। কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে, কোচিং করিয়েছেন ব্রিসবেন হিটেও। এ ছাড়াও পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাবেক এই পেস বোলার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্যানেলেও এক সময় যুক্ত ছিলেন বিকেল।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ যেবার সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল, সে সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন বিকেল। ১৯ বছর পূর্বের স্মৃতিচারণ সাবেক এই অজি করেছেন ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে। কথা বলেছেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিগ ব্যাশ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে নিয়েও।
পাঠকদের সুবিধার্থে বিকেলের সাক্ষাৎকারটি নিচে দেয়া হল:
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটে কোচিং স্টাফদের একজন, পেশাটা কতটা উপভোগ করছেন?
আমি ২০১৬ সাল থেকে কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে কোচ হিসেবে আছি। গত বছর আমি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কাজটা করতে খারাপ লাগছে না। এই পেশায় নিজেকে আরও ওপরে নিয়ে যেতে চাই। আপাতত ছেলেদেরকে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে কোচিং করাচ্ছি। আমি যেখানে আছি এখানে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি তো অনেকদিন ধরেই এখানে আছেন। উইকেট আর কন্ডিশন নিয়ে যদি খানিকটা ধারণা দিতেন...
এখানকার উইকেট বেশ ভালো, বেশিদিন হয়নি এই মাঠকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। সম্প্রতি আমরা (কুইন্সল্যান্ড) কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। যা বুঝেছি উইকেটে গতি ও বাউন্সের প্রভাবটা একটু বেশি। এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। কারণ অতীতে উইকেট একটু ধীরগতির ও লো বাউন্স (নিচু) ছিল। তবে এই মুহূর্তে যে ব্রিসবেনের আবহাওয়া তাতে পেসাররা বেশি সুবিধা পাবে। গতি ও বাউন্স থাকবে। এটা বিশ্বকাপে অবশ্য একটা ভূমিকা পালন করবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: পেসাররা তাহলে বিশ্বকাপে বাড়তি সুবিধা পাবে বলছেন?
দেখুন এখন তো অক্টোবর। আবহাওয়ার কারণে শুরুর দিকে পেসাররা সুইং পাবে। তবে এখানে যখন আবার গরম থাকে তখন ব্যাটারদের জন্য খেলতে সুবিধা হয়। কিন্তু এখন ব্রিসব্রেনের আবহাওয়া একটু ভিন্ন, কখনও গরম পড়ছে তো কখনও ঠান্ডা আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই আমি বলব এমন আবহাওয়াতে পেসাররা একটু বাড়তি সুবিধাই পাবে। সিডনিতেও এমন রকমের আবহাওয়া থাকছে কয়েকদিন ধরে। তাই সুইং বোলারদের ক্ষেত্রে এখানে সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনাটা একটু বেশি।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: তাহলে তো উপমহাদেশের ব্যাটারদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তারা কিভাবে উতরে যেতে পারে এটা...
এখানে যদি ৫০ ওভারের খেলা থাকতো তাহলে বলতাম যে শুরুর দিকে বল ছেড়ে খেলতে। বল পুরনো করতে। এরপর বোলারদের আক্রমণ করতে। এতে বোলারদের ওপর চাপ বাড়তো। তবে যেহেতু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, তাই আপনাকে খেলতে হবে ভিন্ন উপায়ে। বোলারকে শুরু থেকেই আক্রমণ করতে হবে। কে সুইং বোলার, কার গতি বেশি তা দেখতে গেলে আপনি ব্যাকফুটে চলে যাবেন। তাই আমি বলব পাওয়ার প্লে'তে সুইং বলের বিপক্ষেই আক্রমণ চালাতে হবে। যেন বোলার ভাবতে বাধ্য হয়। এটা করতে না পারলে কিন্তু দল বিপদে পড়ে যাবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: পাওয়ার প্লে তবে বড় পার্থক্য গড়তে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি তো মনে করছি সব দলগুলোর এই প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিৎ। তা না হলে বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব হবে না। আবার বোলারদের ভালো করতে হলে ভালো জায়গায় বল করতে হবে। কিন্তু এখানে একটা কথা অবশ্যই চলে আসে, সেটা হচ্ছে এটা তো বিশ্বকাপ। আইসিসির টুর্নামেন্টের উইকেট কম বেশি ফ্ল্যাট হয়। গ্রাউন্ডসম্যানরাও হয়তো এভাবেই তৈরি করবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: একটু বাংলাদেশের কথায় আসি। এখানে তো তারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তাদের কেমন সুযোগ দেখছেন...
বিশ্বকাপের জন্য অভিজ্ঞতা গ্রহণের জন্য এটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো সুযোগ। দলটাতে বেশ কয়েকজন ভালো ক্রিকেটার আছে। বোলিংয়ের দিক দিয়েও ভালো করছে। তবে ব্যাটারদেরকে ক্যালকুলেটিভ (বুঝে-শুনে) ঝুঁকি নিতে হবে, তাহলেই বড় রান হবে। পাওয়ার প্লে'তে গতিময় বোলারদের বিপক্ষে দ্রুত রান বের করে আনতে হবে। তাহলে সুযোগটা বেশি থাকবে। অন্যথায় একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে পুরো দলকে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশের পেসাররা খুব একটা এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত না। ভালো করতে তাদের কি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন...
এখানে বোলিং লেন্থটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। আপনি কোন লেন্থে বল করছেন। আপনি যদি এখানে সুইং করার মতো কন্ডিশন পেয়ে যান তাহলে লক্ষ্য থাকতে হবে স্টাম্প সোজা ৫ মিটার দূরে বল করতে হবে যেন বলটা সুইং করার সময় পায়। কিন্তু ঘরে যখন খেলবেন তখন সেটা ৭মিটার হয়ে যায়, উইকেটে বল হিট করাতে হয়। এখানে সেটার প্রয়োজন নেই। এখানে সুইং-বাউন্স থাকে প্রায় সময়ই। ব্যাটারকে বোকা বানাতে সামনেও বল করতে পারেন যেন সে লোভে পড়ে মারতে গিয়ে আউট হয়। এছাড়া ফিল্ডিং পজিশনও ঠিকভাবে সাজাতে হবে যেন বোলারদের চেষ্টা ব্যর্থ না যায়।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সাকিবকে তো বোধহয় বিগ ব্যাশ বা আইপিএলে দেখেছেন। বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারও সে। তাকে ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কাউকে চেনা আছে?
আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমানকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। সে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনেক উন্নতি করেছে কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সেটা এখনও হয়ে ওঠেনি। সে পুরাতন বলে বেশি কার্যকারী, অফ কাটার ছেড়ে ব্যাটারকে বোকা বানিয়ে দেয়, ইনিংসের শেষের দিকে ওর বিপক্ষে মারতে সাধারণত ব্যাটাররা একটু কম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। হতে পারে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বল হাতে তার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। এখানে ভালো করতে মুস্তাফিজের কোথায় নজর দিতে হবে?
সে নতুন বলে সুইং করাতে পারলে অবশ্যই ভালো তার জন্য ভালো হবে। কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, তাহলে দলও ভালো করবে। সে তো বাইরের কন্ডিশনে খেলেছে অনেক, এখানে সে বোলিংটা উপভোগ করবে। সঠিক লাইনে বোলিং করতে হবে। স্টাম্পের ওপর বল করতে হবে, একটা লাইন ধরে ব্যাটারকে আক্রমণ করত হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সাকিব অনেক আগেই বিগ ব্যাশ খেলে গেছে। বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটারদের নিয়ে এখানে আগ্রহ দেখা যায় না। এই বিশ্বকাপে ভালো করলে সামনে সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে হয়?
এ বছর থেকে আমরা ভিন্নভাবে দল সাজানোর সুযোগ পেয়েছি (ড্রাফটের মাধ্যমে)। যদিও আমার মতে, এটা অনেক আগে হয়ে গিয়েছে। আরও পরে করলে ভালো হতো। দল সাজাতে আপনাকে বসে ভাবতে হয় দলের জন্য কোনটা সঠিক। এবারের বিশ্বকাপ অনেক ক্রিকেটারের জন্য বড় মঞ্চ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরসহ সবদেশের ক্রিকেটারদের আমরা কাছ থেকে দেখতে পারব। পরবর্তী বছর এটা বেশ ভালো কাজে আসবে। এছাড়া বিশ্বে অনেক টুর্নামেন্ট তো হচ্ছেই। তবে বিগ ব্যাশে বিদেশি খেলোয়াড় নির্বাচন করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এমনও হতে পারে এই বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দেখে পরের আসরে অনেকে দলে নিয়েও নিতে পারে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯ বছর আগের স্মৃতি মনে আছে?
সে সময় আমার জন্য সুযোগ পাওয়াটা অনেক বড় বিষয় ছিল। কারণ ম্যাকগ্রা, গিলেস্পি বা লির মতো বোলাররা ছিল। আমরা কেইর্ন্স ও ডারউইনে খেলেছিলাম মনে আছে। দ্বিতীয় টেস্টে আমরা একটা সেশনে চ্যালেঞ্জেও পড়েছিলাম বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১০০'র ওপর করেছিল। তবে লাঞ্চের পর দ্রুত অল আউট হয়ে যায়। আর ওয়ানডেতে ওদের বিপক্ষে খেলেছিলাম। আমাদের জন্য একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল ডারউইন ও কেইর্ন্সে গিয়ে খেলাটা।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে ৭ উইকেটও ছিল। রিকি পন্টিং-স্টিভ ওয়াহদের মতো অধিনায়কের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা কথা যদি বলতেন...
আসলে অস্ট্রেলিয়ার সেই দলটার সাথে খেলতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনাকে নিয়মিত পারফর্ম করতে হতো, না হলে একাদশের বাইরে। ম্যাকগ্রা, গিলেস্পি, লির মতো বোলাররা ছিল। তারপরও দুই অধিনায়কই আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে না হলে আমার জন্য কঠিন হয়ে যেতো। আমি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য এটা আসলেই খুব গর্বের ব্যাপার। আর ইংল্যান্ডের ম্যাচটায় যে আমি ৭ উইকেট নেবো কল্পনাও করিনি, দিনটি পুরোপুরি আমার ছিল।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: অস্ট্রেলিয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। এবার আবার ঘরের মাঠে খেলা। সেজন্য তারা একটু বাড়তি চাপে থাকবে কিনা...
আমাদের দলটা বেশ ভালো ও গোছানো। তবে কয়েকটা জায়গায় ছোটখাটো পরিবর্তন আসা উচিৎ। এই যেমন ফিঞ্চকে ওপরে খেলতে হবে। গত কয়েকবছর সে যে ভূমিকায় খেলেছে সেটাই চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। বড় টুর্নামেন্টের আগে এসবে পরিবর্তন আনা ঠিক হবে না। গত বিশ্বকাপ আরব আমিরাতে হলেও ব্যাটে-বলে হচ্ছিল। সে ভালো করেছে সেখানে। টপ অর্ডার ঠিক না করলে টানা দুইবার শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে দল। তবে পারতেও পারে। কিছু সমস্যা দূর করলেই হবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: টি-টোয়েন্টিতে স্মিথের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে টিম ডেভিডও ভালো খেলছে। স্মিথ একাদশে সুযোগ পাবে বলে মনে হয়?
এটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য মাথাব্যাথা। অনেক খেলোয়াড়ই ভালো করছে। তাই এটা স্মিথের জন্য কাজটা কঠিন করে দিতে পারে। যদিও এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা টিম ম্যানেজম্যান্টের জন্য সহজ হবে না, তারপরও আমি মনে করি দলের স্বার্থে ও কম্বিনেশন তৈরিতে স্মিথকে বাইরেও বসতে হতে পারে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: ক্যামেরন গ্রিন ও টিম ডেভিড ভারতে দারুণ করেছে। ডেভিড থাকলেও বিশ্বকাপের মূল দলে নেই গ্রিন। খানিকটা হতাশ হয়েছেন কিনা...
ডেভিড লম্বা সময় ধরেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাডারে ছিল। সে সুযোগ পেয়ে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে। তার হাতে অনেক শক্তি, সে বলে টাইমিং করলে মাঠের বাইরে যাবেই। এখন তো স্কোরবোর্ডের প্রেশার নিয়ে ব্যাটারদের ব্যাট করতে হয়, সে এটাতে ভালোভাবে অভ্যস্ত। সে ম্যাচ উইনার আমাদের। আর গ্রিন বেশ ভালো করেছে, তবে তাকে দলে আসতে হলে বাকিদের পেছনে ফেলতে হবে, এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতাটা বেশি। ম্যাক্সওয়েল-স্টইনিস বা মার্শরা রেগুলার পারফর্ম করছে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস কে হতে পারেন?
এই দলে আসলে একজনকে নিয়ে বলা যাবে না। যে কোন দিন যে কেউ ভালো করতে পারে। বোলারদের মধ্যে স্টার্ক-হ্যাজেলউড আছে। ওরা ভালো ফর্মে আছে। মিডল অর্ডারে ম্যাক্সওয়েলের মত ক্রিকেটার আছে। সমস্যা একটু টপ অর্ডারেই, তবে এটা দূর করলেই অস্ট্রেলিয়া টানা দুইবার টি-টোয়েন্টিতে শিরোপা জিততেও পারে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, সবাই ভালো খেলছে। তবে আপনার চোখে এবারের ফাইনালিস্ট কারা?
অস্ট্রলিয়াকে তো ফাইনালে রাখতেই হবে, যেহেতু আমার দেশ। সাথে যদি বলতে হয় ভারতের বড় সুযোগ আছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকারও সুযোগ দেখছি আমি। ওদের বোলিং লাইন-আপ দলটাকে এগিয়ে রাখবে। এছাড়া ব্যাটিংয়ে এইডেন মার্করাম, রাইলি রুশো বা ডেভিড মিলাররা ম্যাচের মোড় যেকোনো সময় পাল্টে দিতে পারে। ইংল্যান্ডকেও ছেড়ে দেয়া যাবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে, ওরা কখন কি করে বসবে কেউ বলতে পারে না। আমার মনে হয় এই ৪ দলের মধ্যে একদল অস্ট্রেলিয়ার সাথে ফাইনাল খেলবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনার তো কোচিংয়ে অনেকদিন হলো। চেন্নাই ও পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব এলে ভেবে দেখবেন কি?
আমি বিগত কয়েক বছরে আইপিএলে কোচিং করিয়েছি। এই পেশাটাকে উপভোগ করি। এই মুহূর্তে কুইন্সল্যান্ডের সঙ্গে আছি। কে জানে ভবিষ্যতে সুযোগ আসলে এমনটা হতেও পারে।