|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মুশফিকুর রহিমের পারফরম্যান্স, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা বা ক্রিকেটের প্রতি তার নিবেদন এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বশেষ ৮ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স ছিল না ঠিক মুশফিকের মতো। আবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই ফরম্যাটে সর্বশেষ ফিফটি পেলেও তার আগের কয়েক ইনিংসে আসেনি বড় রান।
যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসর তাই এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ফর্মটাই চাই 'আপ টু দ্যা মার্ক'। সেটা হোক তার জন্য কিংবা দলের জন্য। তাই তো নিজেকে ফিরে পেতে বা সমস্যা কোথায় হচ্ছে তা ধরতে ছুটে গিয়েছিলেন বিকেএসপিতে প্রিয় গুরুর কাছে। নিয়মিত ম্যাচের মধ্যে থাকতে এবং ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সম্প্রতি খেলেছেন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে, পারফর্মও করেছেন।
'এ' দলের ম্যাচ শেষে মুশফিক ফিরেছেন ঢাকায়। ৩ অক্টোবর রাতে উঠবেন ওমানের বিমানে। বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়ার আগে মুশফিক কথা বলেছেন 'ক্রিকফ্রেঞ্জি' সঙ্গে। সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশের শক্তিমত্তা, সম্ভাবনা, নিজের পারফরম্যান্স এবং ফাহিম স্যারের শরণাপন্ন হওয়া নিয়ে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ দলে একজন লেগ স্পিনার না থাকার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। আরও জানিয়েছেন, অধিনায়কত্বকালীন তিনিও এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছিলেন।
ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সামনে আমাদের বড় টুর্নামেন্ট, বিশ্বকাপে খেলব... এখন পর্যন্ত সব আসরে অংশ নিলেও আমরা নকআউটে খেলতে পারিনি, সুপার ১২ বা ১০ এর মধ্যে আটকে গিয়েছি। এবার কি আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারি?
মুশফিকুর রহিম: যেটা বললেন সেটা তো আসলেই বাস্তবতা। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমরা যদি বলেন ধারাবাহিকভাবে সারা বছর পারফর্ম করতে পারিনি। কিন্তু একটা ব্যাপার যদি বলেন যে করতে পারিনি এটা একটা ইতিবাচক দিক। বেশিরভাগ খেলোয়াড় আছি আমরা যারা প্রথম থেকে বিশ্বকাপ খেলছি। যেমন রিয়াদ ভাই, সাকিব এবং আমি। কম-বেশী দেখা যাচ্ছে যে আমাদের সেই অভিজ্ঞতা যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে অনেক বড় বিষয় হবে। বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা ৩-৪ বছর ধরে খেলছে বা সাম্প্রতিক সময়ে যারা খেলছে তারাও অনেক প্রতিভাবান। আমার মনে হয় যে এই মিশ্রণটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সবচেয়ে বড় যেটা আমি মনে করি যে গত যে তিনটা সিরিজ আমরা খেলেছি, যদিও ভিন্ন কন্ডিশন বলেন কিংবা ভিন্ন দলের সঙ্গে বলেন কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জেতাটা কিন্তু কঠিন।
এটা আপনারা আরও ভালোভাবে জানবেন। কারণ এখানে আসলে ছোট দল কিংবা বড় বলতে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে। সেদিক সবকিছু মিলে আমার কাছে মনে হয় যে বড় সুযোগ। বিশেষ করে ব্যক্তিগতভাবে বলেন আর দল হিসেবে বলেন আমার কাছে বড় একটা সুযোগ মনে হচ্ছে। পুরো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যেটা গত কয়েকটা আইসিসি ইভেন্টে করে দেখাতে পারিনি এটা করে দেখানোর বড় সুযোগ আছে আমাদের। হ্যাঁ, আল্লাহ না করুক এটাতেও ওইরকম কিছু নাও হতে পারে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে গত ৪-৫ মাসে আমরা কথা বলেছি এবং নিজেরা নেয়ার চেষ্টা করছি।
যেটার ফল আপনারা দেখেছেন যে গত তিনটা সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছি। আমি মনে করি যে এটা ভালো একটা দিক। যেটা বললাম সিনিয়র-জুনিয়রদের এই মিশ্রনটা যদি থাকে এবং আমরা যদি দল হিসেবে লাস্ট কয়েকটা সিরিজ খেলেছি এভাবে যদি পারফর্ম করতে পারি তাহলে কেন নক আউট পর্বে খেলবো না। অবশ্যই আমাদের সেরা চারে যাওয়ার সক্ষমতা আছে কিন্তু প্রথম রাউন্ড একেবারে সহজ নয়। কারণ ওমানে আমরা কখনও খেলিনি। যদিও আমাদের মতই আবহাওয়া হয়তো একটু গরম কিন্তু আমরা কত তাড়াতাড়ি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি সেটা দেখার বিষয়। আর দ্বিতীয়ত ওই মোমেন্টামটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি পারি। টি-টোয়েন্টি সবসময়ই মোমেন্টামের খেলা। আমার মনে হয় ওই মোমেন্টামটা আমরা ধরে করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সুপার ১২ পর্ব পাড়ি দিলে আমরা হয়তো বি গ্রুপে খেলব। সেখানে উপমহাদেশের ৩টি দল আগেই আছে। ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান, সঙ্গে আছে নিউজিল্যান্ড। উপমহাদেশের ৩ দলের বিপক্ষে খেলাটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা নাকি উল্টো চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে?
মুশফিকুর রহিম: অবশ্যই। আমি মনে করি যেটা বললেন আসলেই ট্রিকি। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিন্তু রেকর্ড অনুযায়ী বলেন উপমহাদেশের দেশগুলো কিন্তু ভারাম্যপূর্ণ এবং ধারাবাহিক দল। বিশেষ করে বিদেশি দলগুলোর চেয়ে আমার কাছে মনে হয়। আপনি যদি তাদের স্পিনারদেরও খেয়াল করেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন আইসিসির টপ টেন বোলারদের তালিকা যদি খেয়াল করে দেখেন দেখবেন ম্যাক্সিমাম বোলারই কিন্তু স্পিনার। বিশেষ করে রিস্ট স্পিনার কিংবা লেগ স্পিনার। আমার মনে হয় সেদিক থেকে উপমহাদেশে বেশি থাকে এবং তাদের অভিজ্ঞতাও কিন্তু বেশি।
শুধু আইপিএলে খেলার জন্য না ঘরোয়া ক্রিকেটেও যখন তারা খেলে থাকে দেখা যাবে যে তারা তাদের লিগগুলোতে ভালো করে। সেদিক থেকে ভাবলে আমাদের জন্য ভিন্ন চ্যালেঞ্জ হবে। একই দিক থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আমাদের সব ম্যাচ জিততে হবে। মোমেন্টাম একটা ফ্যাক্ট। যেকোন একটা বড় টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে দল হিসেবে যে আত্মবিশ্বাসটা লাগে এবং ভারসাম্যটা লাগে একটা বড় টুর্নামেন্টের আগে সেটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এই ফোকাসটা আমাদের রাখা উচিত তারপরে আমরা যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হই বা না হয়েও যদি সেকেন্ড রাউন্ডে যাই সেটা হচ্ছে ভিন্ন ইস্যু। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই আমাদের সবার প্রায়োরিটি। তারপর সেকেন্ড রাউন্ডে আমরা দেখবো।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সব দলেরই স্কোয়াড দেয়া শেষ। প্রতিদলেই যারা স্পিনার আছেন সেখানে লেগ স্পিনার ১-২জন আছেন। আমাদের দলে কোন লেগ স্পিনার নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিপ্লব স্কোয়াডে থাকলেও তাকে ম্যাচ খেলানো হয়নি, ওকে কি সেখানে সুযোগ দেয়া যেত কিনা? আর না খেলানোর পেছনে অবশ্যই কম্বিনেশনের একটা ব্যাপার আছে। আর মূল স্কোয়াডে একজন লেগকে সুযোগ দেয়া যেত কিনা?
মুশফিকুর রহিম: দেখেন এটা কিন্তু শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না। আমার খেলার দিনগুলোর কথা যদি বলি, যখন অধিনায়কত্বকালীন আমিও ভুক্তভোগী ছিলাম। একজন লেগ স্পিনার আমার দলে থাকলে অন্য রকম ফলাফল হতো। অনেক ম্যাচ আছে যেখানে ফিঙ্গার স্পিনারদের জন্য কিছুটা, রিস্ট স্পিনারদের প্রাধান্য পেয়ে থাকে। সেদিক থেকে বলবো যে সর্বশেষ ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে যেটা আসলে বাস্তবতা আমরা এখনও ওইরকম কোন লেহগ স্পিনার তৈরি করতে পারিনি। আমি মনে করি যে এটা শুধু জাতীয় দলের না আমাদের যে ক্রিকেট সংস্কৃতি এটা আমাদের ব্যর্থতা যেটা আমি মনে করি। আমি নিজেও এর সঙ্গে জড়িত। এটা স্বাভাবিক কারণ আমরা হয়তো ঘরোয়াতে কাউকে ওইভাবে প্রমোটও করতে পারি না বা এরকম কোন স্পিনার বেরও করতে পারি না। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ডিসঅ্যাডভান্টেজ। কিন্তু একই সময়ে যেহেতু আমাদের (লেগ স্পিনার) নেই বা এখন যে আছে ওই রকম অভিজ্ঞ না।
আমরা যত সুযোগ দিতে পারি আমার মনে হয় যে তত ভালো হবে। যেটা বললেন, খেলানো আসলে আমার হাতে নেই, এটা ম্যানেজমেন্টের হাতে। কিন্তু তারপরও আমি মনে করি যে সে পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছে। যদি খেয়াল করে দেখেন গত ১-২ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছে, অনুশীলন করছে এবং সফর করছে। আমি মনে করি যে সে সেই অভিজ্ঞতটা অর্জন করবে । আর লেগ স্পিনার এমন একটা জিনিস আপনি যত ম্যাচ খেলবেন আপনি তত পরিণত হতে থাকবেন। যতই আপনি দলের সঙ্গে থাকেন আর অনুশীলন করেন। আমি মনে করি যে সেই সুযোগটা শুধু বিপ্লব না আপকামিং যারা থাকবে তাদেরকে যদি সেই সুযোগটা করে দিতে পারি এখন না হলেও পরবর্তী ২-৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হয়তো ১-২ টা ভালো স্পিনার পেতে পারে যারা কিনা বাংলাদেশকে আরও অনেক ম্যাচ জেতাবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সম্প্রতি চট্টগ্রামে আপানকে আমরা ফিল্ডিংয়ে দারুণ একটি ক্যাচ নিতে দেখেছি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিপিং ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি অনেকটাই নির্ভার নাকি ফিল্ডিংটা বেশ উপভোগ করছেন?
মুশফিকুর রহিম: না, এটা তেমন কিছু না। একটা দুইটা ক্যাচ আল্লাহ না করুক যখন পড়ে যাবে তখন বলবে ... তখন আসলে বলাটা কঠিন হয়ে যাবে। তখন আবার বলবে মাঠেই চলে না। এটা এমন কিছু নয়। আমার কাছে মনে হয় একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলে অবদান রাখতে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে ভূমিকায় চাইবে চেষ্টা করব সেভাবেই পালন করতে। আর ফিল্ডার হলে ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ থাকে, দক্ষতা থাকে। আমি চেষ্টা করবো সেটারও উন্নতি করার । কারণ আমি যদি অন্য ভাবে দলে অবদান রাখতে পারি সেটা আমার জন্যও ভালো, দলের জন্যও ভালো। আর আমি মনে করি ব্যক্তিগত কোন কিছুর আগে দল। টিমের ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চিন্তা করবেন আমি সেভাবেই ইনশাআল্লাহ ডেলিভার করার চেষ্টা করব।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আমরা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে যাচ্ছি। অবশ্যই দারুণ ব্যাপার। তবে আমরা যেমন উইকেটে খেলে বিশ্বকাপে খেলব সেখানেও হয়তো অনেকটাই এমন থাকবে। কারণ আমরা আইপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচেও একটু মন্থর বা হালকা স্পিনবান্ধব উইকেট দেখছি। এটা কি বাংলাদেশের জন্য প্লাস পয়েন্ট কিনা?
মুশফিকুর রহিম: স্বাভাবিকভাবে যেটা বলেছেন লাস্ট সিরিজ দুটো একটু কঠিন কন্ডিশনে খেলেছি এটা সত্য। আইসিসির ইভেন্টগুলোতে হয়তো একটু বেটার পিচ থাকে এবং আমি মনে করি স্পোর্টিং পিচ থাকে। কিন্তু যেটা বললেন আইপিএল যেহেতু একই মাঠে খেলা হচ্ছে এবং একই ভেন্যুতে বেশিরভাগ খেলা হবে। তো আশা করছি তখন একটু বেটার হলেও হতে পারে। যদি সেটা না হয় তাহলে আমাদের জন্য সারপ্রাইজিং হবে না। কারণ আমরা এরকম উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। এটা আমাদের বাড়তি সুবিধাও হতে পারে। আমি যেটা মনে করি আমরা লাস্ট দুিইটা সিরিজ যে উইকেটে খেলেছি এটা একটু বেশিই কঠিন ছিল, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে। বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। যতই আপনি আইপিএল.. কেন ওইখানের যদি গড় বলেন হয়তো বা ১৪০+ আছে। আর আমাদের এখানে যদি এভারেজ বলেন লাস্ট দুইটা সিরিজে আমরা একশোও করতে পারিনি মানে দুই দল মিলে। চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই থাকবে কিন্তু প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে যত তাড়াতাড়ি সেটা মানিয়ে নেয়া যায়। সেই হিসেবে আমরা পরিকল্পনা করব এবং কার্যকর করার চেষ্টা করব।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: এবারের বিশ্বকাপে আপনার তো ব্যাক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই আছে, সেগুলো কি বা ভিন্ন কোন পরিকলপনা সাজিয়েছেন কিনা?
মুশফিকুর রহিম: ভিন্ন কিছু বলতে প্রত্যেকটা প্রতিযোগিতায় আসলে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ থাকে। এটাও একটা বড় ইভেন্ট আমার নিজেরও চেষ্টা থাকবে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরতে পারি। সর্বশেষ যে কয়টা বিশ্বকাপ খেলেছি সেটার থেকে যেন দ্বিগুণ ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি ব্যক্তিগতভাবে। সবচেয়ে বড় ফ্যাক্ট আমার কাছে যেটা মনে হয় একজন খেলোয়াড় হিসেবে জয়ের ক্ষেত্রে আমি যেন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারি। এটা আমার কাছে মূখ্য। সেটা হতে পারে অনেক বড় ইনিংস, ছোট ইনিংস বা সেটা হতে পারে একটা রান আউট একটা ক্যাচ বা যেকোন কিছু। আমি সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করি। অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যক্তিগতভাবে আমার এখনও অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে, নিজের লক্ষ্য আছে। তো আশা করি যদি সুযোগ থাকে এবং পাই অবশ্যই সেগুলো যেন ফুলফিল করতে পারি।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আপনার একটি ছবি দেখতে পাই। বিকেএসপিতে নাজমুল আবেদীন ফাহিম স্যারের সঙ্গে আলাদা করে কাজ করেছেন। এরপর ফাহিম স্যার বলেছিলেন, বিশ্বকাপে মুশফিককে নতুন কিছু শটস খেলতে দেখা যেতে পারে! আসলেই কি তাই? নতুন কিছু কি দেখতে পারব আমরা?
মুশফিকুর রহিম: না না, এগুলো তো বলা যাবে না। এগুলো আমার আর ফাহিম স্যারের ভেতরের কথা। শুধু এখন না আমি সবসময়ই স্যারের সঙ্গে কাজ করি। স্যার এবং মতি স্যার আছেন তারা আমার কোচ তাদের সঙ্গে আমার ব্যাটিংটা শেয়ার করি এবং কথা বলার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, কিছু জায়গা ছিল যেগুলো আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। এটা আসলে তিন বা চারদিনে হয় না। প্রসেসগুলো কি কি এবং প্র্যাক্টিক্যালি সেগুলো দেখার জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং সেগুলো আমরা অনেকক্ষণ ধরে ভিডিও করেছি এবং বিশ্লেষণ করেছি। সবকিছু মিলে মনে হয় যে ভালো কিছু সেশন করেছি। আশা করছি এই বিশ্বকাপে যদি সুযোগ হয় দেখানোর আর যদি না হয় ইন ফিউচারে তো অবশ্যই আশা করবে যেন সেগুলো আমার আয়ত্বে চলে আসে।