‘সেরা ক্রিকেট’ খেলার দিনে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা
৯ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানালেন, বাংলাদেশ তাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছে। এমন দিনেও হারতে হয়েছে টাইগারদের। সাকিব এবং লিটন দাসের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে ১৭৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার ১৭০ পেরোলেও সেটিকে ডিফেন্ড করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো সাকিবের দলকে।
ক্রাইস্টচার্চে জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুতে খানিকটা আঁটসাঁট বোলিং করেন হাসান মাহমুদ এবং তাসকিন আহমেদ। তবে এই সময়ে বেশ কিছু বাউন্ডারিও দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে পাওয়ার প্লেতে কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পরও পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তোলে পাকিস্তান।
এরপর খানিকটা দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন বাবর ও রিজওয়ান। তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন রিজওয়ান। তবে লুফে নিতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এদিকে অন্য প্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর।
সাইফউদ্দিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাবরকে ইনিংস বড় করতে দেননি হাসান। ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কভারে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ দেন বাবর। তাতে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় তাকে।
একই ওভারের পঞ্চম বলে হায়দার আলিকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান। ডানহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড আউট হন হায়দার। তিনে নেমে কোন রানই করতে পারেননি তিনি। তাতে আবারও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ১৫তম ওভারে আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। সাকিবের এক ওভারে ২ ছক্কা ও এক চারে ১৭ রান তোলে ব্যবধান কমান মোহাম্মদ নওয়াজ।

বাবরের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এদিন হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রিজওয়ান। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরির পর রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন ৬৯ রান করা রিজওয়ান।
হেনরি-কনওয়ের সৌজন্যে সহজ জয় পেল নিউজিল্যান্ড
২০ ঘন্টা আগে
তাতে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন হয় ৮ রান। সেটি করতে ৫ বল সময় নেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এক বল বাকি থাকতে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নওয়াজ। বাঁহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে হাসান দুটি এবং সৌম্য একটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে কাঙ্খিত শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ দলীয় ৭ রানেই হারায় সৌম্যর উইকেট।
তিনি নাসিম শাহর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড অনে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। দিনের শুরু থেকেই আঁটসাঁট ব্যাটিং করেছেন শান্ত। খানিক বাদে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে বড় শট খেলে চাপ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
যদিও ১৫ বলে ১২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর সাকিবকে নিয়ে বাংলাদেশের রান বাড়াতে থাকেন লিটন। এই ডানহাতি ব্যাটার ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি।
মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬৯ রানে ডিপ স্কয়ার লেগে ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর ফলে সাকিবের সঙ্গে তার ৮৮ রানের জুটি ভেঙেছে। লিটন নিজের ইনিংস সাজান ২ ছক্কা আর ৬ চারে।
লিটন ফিরলেও আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি সাকিব।
তিনি ব্যক্তিগত ৬৮ রানে নাসিম শাহকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন শাদাব খানের হাতে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ ছক্কা আর ৭টি চারে। ইনিংসের শেষদিকে দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইয়াসির আলী মাত্র ১ রান করে ফেরেন ওয়াসিমের বলে। আফিফ ১১ রান করে হয়েছেন রান আউট
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১৭৩/৬ (২০ ওভার) (সৌম্য ৪, শান্ত ১২, লিটন ৬৯, সাকিব ৬৮, আফিফ ১১; ওয়াসিম ২/৩৩, নাসিম ২/২৭)
পাকিস্তান- ১৭৭/৩ (১৯.৫ ওভার) (বাবর ৫৫, রিজওয়ান ৬৯, নওয়াজ ৪৫*, হাসান ২/২৭, সৌম্য ১/৬)