দলের অনেক উন্নতি হয়েছে: শ্রীরাম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলের আগে চেন্নাইয়ের সহকারী বোলিং কোচের দায়িত্বে শ্রীরাম
২৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। তবে সেই হাওয়ায় ভেসে উন্নয়নয়ের নৌকা খুব একটা এগোতে পারেনি। উল্টো যেন স্রোতের বিপরীতে চলছে! টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে অধিনায়ক সব জায়গায় পরিবর্তন আনার পরও দলের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন আসেনি, অন্তত পরিসংখ্যান এমন কথাই বলছে। সর্বশেষ এশিয়া কাপ কিংবা চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজ সব জায়গায় ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও শ্রীধরন শ্রীরাম বলছেন দলের বেশ উন্নতি হয়েছে।
গত অগাস্টে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে সরিয়ে শ্রীরামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মূলত তিনি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হলেও প্রধান কোচের ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশে আসার পর শ্রীরামের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল এশিয়া কাপ।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের সেই লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতলেও ছিল না প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স। আর চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ।

শ্রীরামের আমলে খেলা এই এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর দুই টুর্নামেন্টে দলীয় সাফল্য দেখলে বলার মতো তেমন কিছুই নেই। তবে ব্যাক্তিগত কিছি সাফল্য টেনে উন্নতির কথা বলছেন এই ভারতীয় কনসালট্যান্ট। তার মতে এই ছোট ছোট উন্নতিগুলোই দলের পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলবে।
খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা
৯ ঘন্টা আগে
শ্রীরাম বলেন, 'উন্নতি অনেক হয়েছে। আমাদের মিডল অর্ডার অনেক উন্নতি দেখিয়েছে। রাব্বি যেভাবে হারিস রউফের সামনে সেদিন খেলেছে, ট্রেন্ট বোল্টকে যেভাবে খেলেছে নুরুল, এসব অবশ্যই ইতিবাচক ইঙ্গিত। তারা বিশ্বের সেরা বোলারদের মধ্যে আছে। তাদের বিপক্ষে এমন খেললে অনেক আত্মবিশ্বাস পাওয়া উচিত।'
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এক তাসকিন ছাড়া বাকি কেউই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এই পেসারও প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিং করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ খরুচে ছিলেন। আর মুস্তাফিজুর রহমানতো এক ম্যাচ পর একাদশ থেকেই ছিটকে গেছেন। তবে এমন পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন শ্রীরাম।
বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট বলেন, 'পেস বোলাররা এখন আরও ভালোভাবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারছে। তাসকিন প্রথম ম্যাচে যেভাবে বোলিং করেছে, শরিফুল দ্বিতীয় ম্যাচে দলে এসে ফিন অ্যালেনের বিপক্ষে ভালো লেংথে বল করেছে, চোট কাটিয়ে ফিরে হাসান যেভাবে বল করেছে দুই ম্যাচে, এসব ইতিবাচক দিক।'
'শান্ত দলে ফিরে যেভাবে খেলেছে, তা দেখাটা উৎসাহব্যঞ্জক। যদিও সে ৩০ রানে আউট হয়ে গেছে, তার পরও যেভাবে বোল্ট ও সাউদির সামনে ব্যাট করেছে, ইতিবাচক অনেক কিছুই নেওয়ার আছে নিশ্চিতভাবে। ফিজ (মুস্তাফিজ) দুয়েকটি ব্যাপার নিয়ে কাজ করছে। সে শক্তভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে। ইবাদত ও সাইফও তাদের সুযোগ পাবে।'-তিনি আরও যোগ করেন।