হেলসের ব্যাটে ইংল্যান্ডের জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্যাম কারানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে সেই সমীকরণটা ৫ বলে ১২ রানে কমিয়ে এনেছিলেন ম্যাথু ওয়েড। তবে দ্বিতীয় বল ডট দেয়ার পর তৃতীয় বলে ওয়েডকে সাজঘরে ফেরান কারান। শেষ ৩ বলে অস্ট্রেলিয়ার যখন ১২ রান দরকার, তখন মাত্র ৩ রানে অজি ব্যাটারদের আটকে রাখেন এই তরুণ পেসার। আর তাতে ৮ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
২০৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ক্যামেরুন গ্রিন। ১ রান করা এই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন রেইস ট্রপলি। তবে গ্রিনের বিদায় টের পেতে দেননি আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই অভিজ্ঞ ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে ৭৩ রান।

মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান ওয়ার্নার। মার্শ ২৬ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ভাঙ্গে ৭১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। মার্শের বিদায়ের পর চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা অ্যারন ফিঞ্চও দ্রুতই ফিরেছেন। অজি অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।
দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন টিম ডেভিড। ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন এই হার্ড হিটার ব্যাটার। এরপর শেষ দিকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন ওয়েড। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে অজিরা। ইংলিশদের হয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মার্ক উড।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন অজি বোলারদের ওপর। দলীয় ১৩২ রানে বাটলারকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেই ঝড় থামান নাথান এলিস।
বাটলার ৬৮ রানে ফিরলেও আরেক ওপেনার হেলস ৫১ বলে করেছেন ৮৪ রান। তবে এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর কেউই বলার মতো কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন এলিস।