নিদাহাস ট্রফির শিক্ষা সংকরের হাতিয়ার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিদাহাস ট্রফি দিয়ে টি-টুয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ভারতীয় অলরাউন্ডার বিজয় সংকরের। বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা নিয়ে আয়োজিত ঐ টুর্নামেন্টে বলে হাতে রান খরুচে বোলিং করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ফাইনালে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে প্রচুর রান দিয়েছিলেন এই পেসার। নিস্প্রভ পারফর্মেন্সের পরও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা নিদাহাসেই শিখেছেন তিনি। তাই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন সংকর।
ফাইনালে টাইগারদের বিপক্ষে ওভার প্রতি ১২ করে রান দিয়েছিলেন সংকর, সাথে ছিলেন উইকেটশূন্যও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারের খেলায় ১১ রান প্রতিরোধ করে দলকে জয়ী করেছেন সেই সংকরই। শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন আট রানের জয়।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সংকর জানালেন, নিদাহাসের শিক্ষাই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। 'নিদাহাস ট্রফি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি শিখেছি, কী ভাবে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
'বাইরের কোনও ব্যাপারকে আমার জীবনে আর প্রভাব ফেলতে দিতে চাই না। শিখেছি, যে কোনও পরিস্থিতিতে কী ভাবে শান্ত থাকা যায়। জীবনের ওঠা-পড়া নিয়ে মাথা ঘামানো ছেড়ে দিয়েছি,' বলেছেন ২৮ বছর বয়সী সংকর।
শেষ ওভারের চ্যালেঞ্জ নিতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন সংকর। 'আমি মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম চ্যালেঞ্জ নিতে। ৪৩-৪৪ ওভার থেকেই নিজেকে বলছিলাম, আমাকে যে কোনও সময় বল করতে হবে। তাই মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল। ধরে নিয়েছিলাম, শেষ ওভারে ১২-১৫ রান হাতে নিয়ে বল করতে হবে।'
শেষ ওভার করার আগে তিনি যে বুমরার পরামর্শও পেয়েছিলেন, তা বলছেন বিজয়। 'বুমরা আমাকে এসে বলে, রিভার্স সুইং হচ্ছে। আমি তাই চেষ্টা করেছিলাম, স্ট্যাম্প বরাবর বল করতে। আমি কোনও রকম চাপে ছিলাম না। ওদের আট উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তাই জানতাম, আমাদেরও জেতার সুযোগ আছে।'