|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সবশেষ ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বড় আশা নিয়ে যুব বিশ্বকাপে গেলেও প্রত্যাশিত ফলের দেখা পাননি মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা। পাকিস্তানের কাছে হেরে সুপার সিক্স থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। ২০২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা ভালো করতে পারেননি ২০২২ সালেও।
টানা দুই বিশ্বকাপ ভালো করতে না পারলেও এবার শিরোপায় চোখ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। সবশেষ কয়েক মাসে নাভিদ নেওয়াজের অধীনে প্রস্তুতি নিয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিমরা। পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে এশিয়া কাপের মিশনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। এশিয়ার টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখতে চান যুব দলের অধিনায়ক। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আজিজুল তামিম বলেন, ‘প্রস্তুতি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো হয়েছে। গত তিন-চার মাস ধরে আমরা সবাই অনেক কষ্ট করছি। ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় আমাদের সম্পর্কটা বেশ ভালো। অনেক কষ্ট করছি, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছি। যেহেতু গতবার আমরা চ্যাম্পিয়ন (এশিয়া কাপ) ছিলাম সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’ অন্য আরেক প্রশ্নে তিনি যোগ করেন, ‘চেষ্টা করব দুইটাই একসাথে নেয়ার, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ। দুইটাই লক্ষ্য আছে বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’
গত দুই বিশ্বকাপে ভালো না হলেও সেসব নিয়ে একদমই ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। বরং মাহফুজুর রাব্বিরদের ছাড়িয়ে যেতে চান তামিমরা। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের থেকে যেন ভালো করতে পারি এটাই আশা করছি। আমরা দেখেছি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছি, এসব মুহূর্তে দুর্ভাগ্যক্রমে হয়ে যায়। হেরেছি এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। এর থেকে যেন ভালো করতে পারি সেটাই চেষ্টা করছি।’
সবশেষ এশিয়া কাপে ছিলেন এমন পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে পেসার মারুফ মৃধার সঙ্গে আছেন ইকবাল হোসেন ইমন, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, শিহাব জেমস এবং রাফি উজ জামান রাফি। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়ার চেষ্টা করছেন তামিম। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দায়িত্ব নিতে চান যুবা টাইগারদের অধিনায়ক।
তামিম বলেন, ‘আগেরবারের পাঁচজন খেলোয়াড় এবার আমাদের দলে আছে। তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, তারা কেমনে কিভাবে করেছে। আসলে সবকিছু কঠোর পরিশ্রম আর সম্পর্কের উপরে। দেশের বা দলের জন্য যে যতটা দায়িত্ব নিতে পারবে এটাই সবথেকে বড় আমি মনে করি। চেষ্টা করছি আমরা বাংলাদেশের জন্য। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ দল না, বাংলাদেশ দলও যেটার জন্য অপেক্ষা করছে ভালো কিছু করার জন্য।’
এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে মিরপুর ফটোসেশান করেছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তও তরুণদের সঙ্গে কথা বলে সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আজিজুল তামিম জানান, অধিনায়ক হিসেবে যাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে তাদেরকে মোটিভেশন দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘স্যার (বিসিবি সভাপতি) অধিনায়কত্বের ব্যাপারে আমাকে বলেছে যারা নিচের দিকের খেলোয়াড় আছে মানে আত্মবিশ্বাস কম আছে তাদেরকে মোটিভেশন দেয়ার জন্য। যে ৫ উইকেট পেলো তাকে মোটিভেশন দেয়ার কিছু নেই এখন। ইতোমধ্যে তার আত্মবিশ্বাস অনেক উপরে আছে। যাদের আত্মবিশ্বাস কম তাদের একটু আত্মবিশ্বাস দেয়া বা যারা একটু ছোট আছে তাদের একটু সাহস দেয়া। এটাই আরকি।’
২০২০ যুব বিশ্বকাপের প্রধান কোচ নাভিদ ও ট্রেনার রিচার্ড স্টনিয়ার এবারও দলের সঙ্গে থাকায় খুশি তামিম। তিনি বলেন, ‘সবদিক থেকে ভালোই। কারণ আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এবং ২০২০ সালে যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম সেখানকার কোচ সবাই আছে এবং স্টনিয়ার, নাভিদ স্যার আছে। খুব ভালো লাগছে সেই টিম ম্যানেজমেন্টই আছে।’