|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সূর্যকুমার যাদবের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে সেঞ্চুরিয়নে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিলক ভার্মা। পরের ম্যাচে জোহানেসবার্গে বাঁহাতি এই ব্যাটার লপরাজিত ছিলেন ১২০ রানে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন ২২ বছর বয়সী তিলক। মেঘালয়ের বিপক্ষে ১৫১ রানের ইনিংস খেলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টানা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বেশিরভাগ সময় চার কিংবা পাঁচে ব্যাটিং করেন তিলক। ভারতের হয়েও তিনে খুব বেশি খেলার সুযোগ হয় না তার। সূর্যকুমার কিংবা ঋষভ পান্তের না থাকায় কয়েকটি ম্যাচ সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। মুম্বাইয়ের হয়ে ২০২২ সালে ১৩১.০২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। পরের বছর ১৬৪.১১ এবং সবশেষ ২০২৪ সালে তিলক রান তুলেছিলেন ১৪৯.৬৪ স্ট্রাইক রেটে।
অথচ নিজের সবশেষ তিন ম্যাচে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। অধিনায়ক সূর্যকুমারের কাছে চেয়ে নিয়ে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। যেখানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯১.০৭ এবং শেষ ম্যাচে ২৫৫.৩১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন ভারতের তরুণ এই ক্রিকেটার। সবমিলিয়ে ২৮০ রান করে সিরিজসেরাও হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
সাউথ আফ্রিকায় সিরিজ জিতে দেশে ফিরেই সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে খেলতে নেমে গেছেন তিনি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচেই হায়দরাবাদের হয়ে ৬৭ বলে ১৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন। অর্থাৎ ২০ ওভারের ক্রিকেটের টানা তিন ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিলক। ভারতের তো বটেই দুনিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। মেয়েদের ক্রিকেটেও এমন কীর্তি নেই আর কারও।
জাতীয় দলের মতো হায়দরাবাদের হয়েও তিনে নেমেছিলেন তিলক। ইনিংসের পঞ্চম বলে রাহুল সিং আউট হওয়ায় প্রথম ওভারেই ব্যাটিংয়ে আসতে হয় তাকে। পুরো ইনিংসে ১৪ চার ও ১০ ছক্কায় ২২৫.৩৭ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। মিডিয়াম পেসার দিপ্পু সাংমার বিপক্ষে ১৮ বলে ৫০ রান করেছেন তিনি। তন্ময় আগারওয়ালের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ১২২ রানের জুটি গড়েছেন। তিলক ১৫১ এবং ওপেনার তন্ময় খেলেছেন ২৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
তিলকের এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে ৪ উইকেটে ২৪৮ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ইতিহাসে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ভারতের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন তিলক। ২০১৯ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেই মুম্বাইয়ের হয়ে ১৪৭ রান করেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। মেয়েদের ক্রিকেটে অবশ্য দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস আছে কিরান নাভগিরের।
২০২২ সালে সিনিয়র উইমেন’স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে নাগাল্যান্ডের হয়ে ১৬২ করেছিলেন তিনি। আইপিএলের এবারের আসরের মেগা নিলামের আগে তিলককে রিটেইন করেছে মুম্বাই। ৮ কোটি রুপির ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটারকে। তিলকের পাশাপাশি আইপিএলের আগামী তিন আসরের জন্য রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া ও সূর্যকুমারকে ধরে রেখেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।