ওয়েস্ট ইন্ডিজ - বাংলাদেশ সিরিজ

৪০০-তে চোখ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:03 শনিবার, 23 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মিকাইল লুইস ও অ্যালিক অ্যাথানাজ দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দিনের তৃতীয় সেশনে তাদের দুজনকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। দিনের বেশিরভাগটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দাপট দেখালেও শেষে বিকেলে খানিকটা স্বস্তির ছোঁয়া পায় বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫০ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাওয়া প্রথম ইনিংসে চারশর বেশি রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ঘণ্টা বেশ ভালোভাবে কাটিয়ে দিলেও একটু পরই ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনে নেমে কেসি কার্টিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তবে কাভেম হজকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের পথ দেখান লুইস। রান আউটে হজ কাটা পড়লে ভাঙে তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি। তবে অ্যাথানাজের সঙ্গে লুইসের ১৪০ রানের জুটি ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

যদিও শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন দুজনই। তবে অ্যাথানাজের সঙ্গে জুটি গড়ার পাশাপাশি তাঁর কাছ থেকে দিকনির্দেশনাও পেয়েছেন লুইস। অ্যাথানজের তথ্য শেয়ারের কথা ম্যাচ শেষে নিজে থেকেই জানিয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংস, উইকেট এবং জুটি নিয়ে লুইস বলেন, ‘কয়েক ধাপের একটা ইনিংস ছিল। আমি আর ক্রেইগ ওপেন করেছিলাম। বেশ খানিকটা ময়েশ্চার থাকায় উইকেট একটু ধীরগতির ছিল। বল একটু ধীরে ব্যাটে আসছিল।’

‘আমরা অবশ্য সেই সময়টা ভালোভাবে পেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমার এবং কাভেমের জুটিটা বেশ ভালোই যাচ্ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে সেটা ক্যারি করতে পারেনি। পরবর্তীতে আমার এবং অ্যালিকের জুটি আমাদের এগিয়ে নিয়েছে। সে আমাকে গাইড করেছে। আপনি জানেন সে আমার থেকে অভিজ্ঞ এবং বারবার আমাকে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল সে আমাকে সঠিক পথে এগিয়ে দিচ্ছিল।’

উইকেটে খানিকটা ঘাসের আচ্ছাদন থাকলেও সেখান থেকে খুব বেশি সুবিধা আদায় করতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। কিছুটা সিম মুভমেন্ট পেলেও ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে সেটা যথেষ্ট ছিল না। উইকেটের খোঁজে প্রায়শই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের শর্ট ডেলিভারিতে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যদিও তা খুব বেশি কাজে দেয়নি তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ কিংবা শরিফুল ইসলামদের।

বরং নিজের পছন্দের জায়গায় বল পেরিয়ে সেগুলো পুল করে নিয়মিতই রান বের করেছেন লুইস। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘শর্ট বলে আমি রান করার চেষ্টা করছিলাম। যেকোন সময়ই হোক শর্ট বল পেলেই মনে হয় পুল করে রান বের করি, এটা আমার পছন্দের জায়গা। এভাবেই আসলে আমি আমার ইনিংসের পরিকল্পনা করেছিলাম।’

প্রথম ইনিংসে ব্রাথওয়েট ও কার্টির উইকেট হারালেও পুরো দিনটা নিজেদের করে নিতেই হাঁটছিলেন লুইস ও অ্যাথানাজ। যদিও সেঞ্চুরির আগে তাদের দুজনকে ফিরিয়ে প্রথম দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে যেতে দেননি মিরাজ ও তাইজুল। প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারানো ক্যারিবীয় ২৫০ রান তুললেও বাংলাদেশের চেয়ে নিজেদের এগিয়েই রাখছেন। উইকেটে আছেন জশুয়া ডি সিলভা ও জাস্টিন গ্রিভস।

লুইসের আশা তারা দুজনে মিলে ভালো জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চারশ রানের ঘরে নিয়ে যাবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের এখনও জাস্টিন এবং জশুয়ার মতো দুজন ব্যাটার আছে। আমার ধারণা তারা দুজনে ভালো জুটি গড়বে এবং আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে। এই উইকেটে আমি চারশর বেশি রান প্রত্যাশা করছি।’

ঘরের মাঠ অ্যান্টিগায় টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন লুইস। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় মন ভরেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারের। দ্বিতীয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার আশা ব্যক্ত করে লুইস বলেন, ‘এখনও একটা ইনিংস বাকি আছে। আশা করছি দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে পারব। ম্যাচ শেষের পর আমাকে এই প্রশ্নটা করো।’