|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের পেসারদের তোপে মাত্র ১০৪ রানে অল আউট হয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও বোলারদের কল্যাণে ৪৬ রানের লিড পেয়েছে সফরকারী ভারত। এরপর ইয়াসভি জায়সাওয়াল ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে চড়ে বিনা উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। ভারত এরই মধ্যে এগিয়ে গেছে ২১৮ রানে। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকে ৯০ রানে অপরাজিত আছেন জায়সাওয়াল। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন লোকেশ রাহুলও।
আগেরদিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভারতের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে স্বপ্নের মতোই শুরু পেয়েছে স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার জায়সাওয়াল ও রাহুল অজি বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। আগের দিন ৪৭ রান তুলতেই ভারত হারিয়েছিল ৬ উইকেট।
আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভারেই বিনা উইকেটে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় ভারত। ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে ভারত ৮৪ রান করে চা পানের বিরতিতে যায়। তখনই ভারতের লিড চলে যায় ১৩০ রানে। বিরতি থেকে ফিরে ১২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আগের ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া জয়সাওয়াল।
হাফ সেঞ্চুরি তোলার পথেই ফ্লিক করে মিচেল স্টার্ককে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে একটি ছক্কাও মেরেছিলেন জায়সাওয়াল। তাতেই টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক হয়ে যান এই ভারতীয় ব্যাটার। এর আগে আর কোনো ব্যাটারই এক বছরে ৩৩টির বেশি ছক্কা মারতে পারেননি।
খানিক বাদে আগের ইনিংসে ২৬ রান করে ফিরে যাওয়া রাহুলও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৫০ রানের পৌঁছাতে তিনি খেলেছেন ১২৪ বল। জায়সাওয়াল ১৯৩ বলে ৯০ ও রাহুল ১৫৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত আছেন। জায়সাওয়াল এখনও পর্যন্ত ইনিংস জুড়ে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন।
এর আগে পার্থে ৭ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অ্যালেক্স ক্যারি ও স্টার্ক। যদিও তাদের দুজনের জুটি গলার কাঁটা হয়ে উঠতে দেননি বুমরাহ। দিনের সপ্তম ডেলিভারিতে ক্যারিকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। ডানহাতি পেসারের রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা শর্ট ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ক্যারি। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপারকে ফিরতে হয়েছে ৩১ বলে ২১ রানে।
নাথান লায়ন এসে স্টার্ককে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করলেও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হার্শিত রানার শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিকে খানিকটা দেরিতে খেলেছিলেন লায়ন। ফলে তৃতীয় স্লিপে থাকা রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৭৯ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টার্ক ও জশ হেজেলউড। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও ভারতের অপেক্ষা বাড়াচ্ছিলেন তারা দুজন। হেজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন ৮৩ রান অনায়াসে পার করিয়ে নিয়ে গেছেন স্টার্ক।
ইনিংসের ৪তম ওভারে নীতিশ কুমার রেড্ডির বিপক্ষে এক রান নিয়ে দলের রান একশ পূরণ করেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে গলার কাঁটা হয়ে ওঠা স্টার্ককে ফিরিয়েছেন হার্শিত। তরুণ এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ২৬ রান করা স্টার্ক ফিরলে ভাঙে হেজেলউডের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। অজিদের ১০৪ রানে অল আউট হওয়ার দিনে বুমরাহ ৫টি, হার্শিত তিনটি ও সিরাজ নিয়েছেন দুটি উইকেট।