|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাথান ম্যাকসুয়েনি, উসমান খাওয়াজা, স্টিভ স্মিথদের ফিরিয়ে প্রথম দিনের শেষ বিকেলেই অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা একশ ছুঁতে পারবে কিনা সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। মিচেল স্টার্কের ব্যাটে একশ পেরিয়ে গেলেও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ভারতের পেসারদের তোপে মাত্র ১০৪ রানে অল আউট হয়েছেন প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও বোলারদের কল্যাণে ৪৬ রানের লিড পেয়েছে সফরকারী ভারত।
পার্থে আগের দিনের ৭ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অ্যালেক্স ক্যারি ও স্টার্ক। যদিও তাদের দুজনের জুটি গলার কাঁটা হয়ে উঠতে দেননি বুমরাহ। দিনের সপ্তম ডেলিভারিতে ক্যারিকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। ডানহাতি পেসারের রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা শর্ট ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ক্যারি। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপারকে ফিরতে হয়েছে ৩১ বলে ২১ রানে।
নাথান লায়ন এসে স্টার্ককে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করলেও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হার্শিত রানার শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিকে খানিকটা দেরিতে খেলেছিলেন লায়ন। ফলে তৃতীয় স্লিপে থাকা রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৭৯ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টার্ক ও জশ হেজেলউড। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও ভারতের অপেক্ষা বাড়াচ্ছিলেন তারা দুজন। হেজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন ৮৩ রান অনায়াসে পার করিয়ে নিয়ে গেছেন স্টার্ক।
ইনিংসের ৪তম ওভারে নীতিশ কুমার রেড্ডির বিপক্ষে এক রান নিয়ে দলের রান একশ পূরণ করেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে গলার কাঁটা হয়ে ওঠা স্টার্ককে ফিরিয়েছেন হার্শিত। তরুণ এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ২৬ রান করা স্টার্ক ফিরলে ভাঙে হেজেলউডের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। অজিদের ১০৪ রানে অল আউট হওয়ার দিনে বুমরাহ ৫টি, হার্শিত তিনটি ও সিরাজ নিয়েছেন দুটি উইকেট।