সাক্ষাৎকার

জায়গাটা এবারই পাকা করতে চাইঃ আফিফ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 19:00 মঙ্গলবার, 10 সেপ্টেম্বর, 2019

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচ খেলেই বাদ আফিফ হোসেন। বছর দেড়েক পর ভাগ্য দেবতা আবারও দরজায় কড়া নাড়ল তাঁর, ডাক পেয়েছেন আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে। দ্বিতীয় দফায় পাওয়া এই সুযোগকে কতটুকু কাজে লাগাতে চান, সেসব নিয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে কথা বলেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। 

২০১৬ সালের বিপিএল দিয়ে লামলাইটে আসা আফিফ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিপিএলে খেলেছেন ড্যারেন স্যামি, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো তারকার সঙ্গে। সেখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে আরও উপরে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। হাই পারফরম্যান্স  দল এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিয়মিত খেলে যাওয়া আফিফ আছেন ফর্মের তুঙ্গে। এই ফর্মই ধরে রাখতে চান আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় নিয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে কথা বলছেন আফিফ। 

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। এক ম্যাচ খেলেই রাডারের বাইরে চলে গেলেন। এক বছর পর আবারও ডাক পেলেন দলে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে দলে সুযোগ পাওয়া, বাদ পড়া দুটিরই স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। সুযোগ কাজে লাগাতে এবার কতখানি মরিয়া?

আফিফ হোসেনঃ সম্প্রতি যে ম্যাচগুলো ছিল, ওইগুলোতে ভালো পারফর্ম করার সময় একটা চিন্তাই মাথায় ছিল যেন জাতীয় দলে আবারও কামব্যাক করতে পারি। যদি সুযোগ পাই, চেষ্টা করব আরও ভালো পারফর্ম করার; যেন আবারও ব্যাক না করতে হয়।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ এতো অল্প বয়সে দল থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা আছে আপনার। বাদ পড়ার প্রভাবটা কতোটুকু পড়েছে আপনার ওপর?

আফিফঃ আসলে ওইটার প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। আমি চেষ্টা করছি আমাকে যেখানেই খেলানো হোক না কেন, সেখানেই যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ সাধারণত আপনি মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন। এইচপি দলের হয়েও সম্প্রতি তাই করেছেন। জাতীয় দলে কোন জায়গায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন?

আফিফঃ আমাকে যেখানেই খেলানো হবে, সেখানেই আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। আর ‘এ’ দলে তো মিডল অর্ডারেই খেলেছি। চেষ্টা থাকবে এখানেও সেই ধারবাহিকতাটা ধরে রাখার।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ এইচপি দলের হয়ে ভালো ফর্মে ছিলেন, চার দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। হাফ সেঞ্চুরিও আছে। শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ধারবাহিক ছিলেন, জাতীয় দলেও কি একই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য স্থির করেছেন?

আফিফঃ ফর্ম তো সবাই ধরে রাখতে চায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটাকে টি-টোয়েন্টিতেও কাজে লাগাতে চাই, যেন ভালো খেলতে পারি।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ টি-টোয়েন্টিতে ডাক পেয়েছেন, বাকি দুই ফরম্যাটের জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত?

আফিফঃ আমি সব সময় সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। আমি যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন, আমার লক্ষ্য একটাই থাকবে নিজের সেরাটা দেয়ার। তারা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দেয়া উচিত, আমাকে দলে নেবে। আমি তো সব সময়ই চেষ্টা করি ভালো খেলার।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে দলে ডাক পেয়েছেন বলে মনে করেন?

আফিফঃ জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার কারণ তো বলতে পারছি না। আমার চেষ্টা ছিল এখানে ভালো করার, এখানে ভালো করলে হয়তো সুযোগ আসবে। সেখান থেকেই ভালো করার প্রেরণা।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ ২০১৬ বিপিএল দিয়ে লাইমলাইটে আসলেন বোলার হিসেবে, পরের বিপিএলে ব্যাটসম্যান হিসেবেও প্রমাণ করলেন। বোলার আফিফ থেকে ব্যাটসম্যান আফিফে কীভাবে রুপান্তর করলেন নিজেকে?

আফিফঃ আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাটসম্যান ছিলাম, শুধু ওই সময়ে বোলিংয়ের সুযোগটা এসেছিল। বোলিং ভালো করে ফেলেছিলাম। তখন থেকেই বোলার হিসেবে সবাই আমাকে চেনে। সে সময় ব্যাটিংয়ের বেশি সুযোগ পাইনি। এরপরের বিপিএল থেকে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা পেয়েছিলাম, সেটাকে কাজে লাগিয়েছি।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে, এবার সাকিব আল হাসানের অধীনে খেলতে যাচ্ছেন। দুজন অধিনায়কের মানসিকতা আলাদা। সাকিবের কাছ  থেকে কতটুকু সাহায্য আশা করছেন বা কোনো পার্থক্য দেখছেন কিনা?

আফিফঃ আসলে আমি যখন ছিলাম, তখন উনি (সাকিব) ছিলেন না। এবারই প্রথম উনার আন্ডারে খেলবো, এরপরই বলতে পারবো।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ সামনে বিপিএল আসছে, সঙ্গে জাতীয় দলেও ডাক পেলেন। দলে জায়গা পাকা করতে বিপিএল কতোটুকু সাহায্য করতে পারে?

আফিফঃ ভালো খেললে তো সব কিছুই সাহায্য করে। আসল কথা হলো ভালো খেলতে হবে, খেললে সব জায়গায় ডাক পাবো।

ক্রিকফ্রেঞ্জিঃ সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেটা নিয়ে এখন থেকে কিছু ভাবছেন?

আফিফঃ সেটা অনেক দূরে এখনও, এখনই এটা নিয়ে ভাবছি না।