|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লর্ডস টেস্টে ইংলিশ পেসার জফরা আর্চারের দ্রুতগতির বলের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্টিভ স্মিথ। এরপর চিকিৎসা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার পর আবারও সাহস করে ব্যাটিং করতে নামলে ইংল্যান্ডের কয়েকজন দর্শক দুয়ো দিয়েছেন স্মিথকে। বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার মিচেল জনসন।
জনসন বলেন, ‘বড় ধরনের হতাশা ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। অবশ্য সবার নয়। তবে কিছু দর্শক দুয়ো দিচ্ছিল যা স্টাম্পের মাইকে শোনা যায়। সে যখন আবার ব্যাট করতে আসে, তখনকার এই অবস্থা হতাশাজনক ছিল। মানুষ কী বলল সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।
তারা বলতেই পারে সে প্রতারণা করেছে তাই আমরা তাকে দুয়ো দিচ্ছি। কিন্তু এসব কথার ভিত্তি নেই আমার কাছে। খেলার শুরুতে আপনি তাকে দুয়ো দিতে পারেন। কিন্তু সে যখন আঘাত পেয়ে সাহস করে আবারও ব্যাটিং করতে নামলো তখন তাকে দুয়ো দেওয়া যায় কিভাবে?’
লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন দলীয় ৭১ রানে চার শীর্ষ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকছিল অজিরা। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুলেছেন স্মিথ। খেলেছেন ১৬১ বলে ৯২ রানের দারুণ এক ধৈর্যশীল ইনিংস।
এই ইনিংস খেলার এক পর্যায়ে ইংলিশ পেসার জফরা আর্চারের ৯২.৪ মাইল গতির বাউন্সারে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। দলীয় ২১৮ রানে সপ্তম উইকেট যাওয়ার পর আবার মাঠে নামেন স্মিথ।
ব্যক্তিগত ৯২ রানে ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি। ওকসের করা বলটি বুঝতে না পেরে ছেড়ে দিয়েছিলেন স্মিথ। তবে বলটি তাঁর প্যাডে আঘাত হানে। এরপর ইংল্যান্ড রিভিউ নিলে থার্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা দেন।
কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের পর ১৬ মাস টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন স্মিথ। এজবাস্টনে ফিরে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দল জিতিয়েছেন স্মিথ। এরপর লর্ডস টেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর।