আফগানিস্তান সিরিজ

জাতীয় দলের বিবেচনায় নেই ইমরুল

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 11:57 শনিবার, 17 আগস্ট, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ব্যাট হাতে বেশ কিছুদিন থেকেই ফর্মে নেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। আফগানিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই। শেষ সাত ম্যাচের একটিতেও হাফসেঞ্চুরি পাননি তিনি। তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে তাঁকে বিবেচনায় রাখার কোনও কারণ তাই দেখছেন না জাতীয় দলের নির্বাচকেরা। 

আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) জিম্বাবুয়ে এবং আফগানিস্তানের অংশগ্রহণে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্টও খেলার কথা রয়েছে সাকিব আল হাসানদের। এই দুই সিরিজ থেকে এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কা সফরে বিবর্ণ পারফর্ম করা তামিম। তাই তাঁর বিকল্প হন্যে হয়েই খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

এক্ষেত্রে তামিমের বিকল্প হিসেবে ইমরুল নয়, সাইফ হাসান কিংবা জহুরুল ইসলামকে পছন্দ নির্বাচক হাবিবুল বাশারের। অভিজ্ঞতার বিচারে অবশ্য সাইফের চেয়ে এগিয়ে ৩২ বছর বয়সী জহুরুল। ৭টি টেস্ট এবং ১৪টি ওয়ানডে ছাড়াও তিনি খেলেছেন ৩টি টি-টোয়েন্টি। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখনও অভিষেক হয়নি ২০ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাইফের।

যদিও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) আসরে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি। সাইফ এবং জহুরুল প্রসঙ্গে একটি বাংলা দৈনিককে বাশার বলেন, 'ছন্দে থাকলে ইমরুল হতে পারতো ভালো বিকল্প। কিন্তু 'এ' দলের সিরিজে ভালো খেলেনি ইমরুল। এক্ষেত্রে নতুন কাউকে চিন্তা করলে সাইফ আর অভিজ্ঞ হলে জহুরুল ভালো।'  

জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলেছেন জহুরুল। তবে থিতু হতে পারেননি সেভাবে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার তিনি। আবাহনীর জার্সিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ১৫ ম্যাচে ৫৬.৫৩ গড়ে ৭৩৫ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল ৩টি সেঞ্চুরি এবং ৩টি হাফসেঞ্চুরি।

একই সঙ্গে ছিলেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এছাড়াও জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) গত আসরে রাজশাহী বিভাগের হয়ে ৬ ম্যাচে ৬২.৫ গড়ে ৩৭৫ রান করেন জহুরুল। ১টি সেঞ্চুরি এবং ২টি হাফসেঞ্চুরি ছিল তাঁর।

জহুরুলের পাশাপাশি উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ সাইফ। ডিপিএলে ১৬ ম্যাচে ৬২.৬১ গড়ে ৮১৪ রান করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এই ব্যাটসম্যান। ৩টি সেঞ্চুরি এবং ৪টি হাফসেঞ্চুরিতে ডিপিএলের শীর্ষ রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনি। আর এনসিএলে ৬ ম্যাচে ৩১.২৮ গড়ে ২১৯ রান করেন সাইফ।