অ্যাশেজ সিরিজ

অভিষেকের আগে অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করলেন আর্চার

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 22:28 মঙ্গলবার, 13 আগস্ট, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লর্ডস টেস্ট দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হতে পারে ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত পেসার জফরা আর্চারের। একাদশে জায়গা পেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের সেরাটা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। সুযোগ পেলে সপ্তাকাশে উড়বেন বলেও জানান আর্চার। 

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া এই পেসার রঙিন জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ইতোমধ্যে। এবার সাদা পোশাকে নিজেকে রাঙানোর অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

লর্ডসের ময়দানে অভিষেক হওয়ার আগে অজিদের সতর্কবার্তা ছুঁড়ে দিয়েছেন আর্চার। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘প্রথমত অবশ্যই আমার অভিষেক হতে হবে। সুযোগ পেলে তখন আমি সপ্তাকাশে উড়বো! তবে টেস্ট অভিষেকের অনুভূতি কেমন হবে তা এখনই বলতে পারছি। আমি জানি যে মাঠে কোনো অলৌকিক কিছু করা যায় না। আমি শুধু নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে পারি এবং সর্বোচ্চ ঢেলে দিতে পারি মাঠে।’

আমি এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রস্তুত। আমি এরই মধ্যে এক ম্যাচে ৫০ ওভার বোলিং করেছি। অন্য যেকোনো সময় আমিই সবচেয়ে বেশি বোলিং করে থাকি। ল্যাঙ্গারের হয়তো এটি জানা নেই, এ বিষয়েও এখন তাকে সতর্ক থাকতে হবে।’

ওয়ানডে অভিষেক আগে হলেও টেস্ট ক্রিকেটকে নিজের পছন্দের ফরম্যাট হিসেবে জানিয়েছেন আর্চার। নিজের শক্তিমত্তা সম্পর্কে জানা আছে তাঁর। সাদা পোশাকে নিজেকে মেলে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন এই পেসার।

তিনি আরও বলেন, ‘সাদা বলের চেয়ে লাল বলেই বেশি খেলেছি আমি। টেস্ট ক্রিকেটই আমার পছন্দের ফরম্যাট। প্রথম শ্রেণির সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের অনেক মিল রয়েছে। আপনার জানা থাকে যে কী করতে হবে, আপনার শক্তিমত্তা কী? প্রথম শ্রেণির ম্যাচ টিভিতে খুব বেশি দেখায় না। যে কারণে লোকে শুধু স্কোরকার্ডই দেখে। যা কখনোই পুরো ধারণা দিতে পারে নয়া।’

এদিকে আর্চারকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই পেসারকে হতাশ করার। তবে আর্চার কেমন পারফর্ম করবেন মাঠে সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

ল্যাঙ্গার বলেন,  'আর্চার কেমন করে তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। গত ১১ মাসে মাত্র ১টি লাল বলের ম্যাচ খেলেছে সে। সন্দেহ নেই যে সে দুর্দান্ত একজন অ্যাথলেট এবং প্রতিভাবান বোলার। তবে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেট আর সাদা বলের ক্রিকেট কখনোই এক নয়।

আমাদের পরিকল্পনা থাকবে তাকে যত বেশি হতাশ করা যায় এবং আক্রমণ থেকে সরিয়ে দেয়া যায়। যাতে সে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ স্পেলের কথা ভাবতে থাকে। সে কেমন করে তা দেখতে সত্যিই আগ্রহী আমি।’