বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ দল পরিচিতিঃ দক্ষিণ আফ্রিকা

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 09:39 বুধবার, 08 মে, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০১৯ বিশ্বকাপ উপলক্ষে ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দশ দলের পরিচিতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আলোচ্য দল দক্ষিণ আফ্রিকা।

বরাবরই ফেভারিটের তকমা গায়ে মেখে বিশ্বকাপের মত বড় আসর গুলোতে অংশ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত সাতটি বিশ্বকাপে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে চারবার সেমিফাইনালে গিয়ে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। এছাড়া ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে ফাফ ডু প্লেসিস’র দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন প্রোটিয়ারা। তবে প্রতিবারের মত এবারের প্রোটিয়া দলকে শিরোপার অন্যতম দাবীদার বলা যায় না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়া অভিজ্ঞ হাশিম আমলা ফর্মহীনতা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। বিশ্বকাপের এক বছর আগে অবসর নেয়া আরেক তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের শুন্যতা রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব নয়। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস, এইডেন মার্করাম ও দারুণ ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কক প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম ভরসার নাম। নতুন মুখ রাসি ফন ডার ডাসেন এবারের বিশ্বকাপে চমক সৃষ্টি করতে পারেন। এছাড়া মূল একাদশে ডেভিড মিলারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।  

দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবর বিশ্বমানের অলরাউন্ডার নিয়ে দল সাজিয়ে এসেছে। লান্স ক্লুজনার, জ্যাক ক্যালিসরা দীর্ঘদিন অলরাউন্ডারের দায়িত্ব সামলে এসেছেন। কিন্তু ক্যালিসের অবসরের পর অলরাউন্ডারের শুন্যতা পূরণ করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও অলরাউন্ডারের অভাব হাড়েহাড়ে টেরে পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অবশ্য দুইজন তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে রাখা হয়েছে। ডোয়াইন প্রিটোরিয়ার ও আন্দেলে ফেহলুকেয়ো...এই দুইজনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে চাইবে ডু প্লেসিসরা। প্রাথমিক ভাবে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া ফাস্ট বোলার আরনিক নরকিয়া ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লে সুযোগ মিলে অভিজ্ঞ বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের। অধারাবাহিকতা কারণে প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ না মিললেও শেষ পর্যন্ত ভাগ্যক্রমে দুয়ার খুলে যায় মরিসের। মরিসের সাথে অভিজ্ঞ জেপি ডুমিনির অফ স্পিনের সাথে ব্যাটিংও প্রোটিয়াদের ভালো পারফর্মেন্সের বড় ভূমিকা রাখবে।

বোলিং বিভাগের দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবারের বিশ্বকাপ বাকি দল গুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষ করে পেস বোলিংয়ের দিক থেকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদির সাথে ডেল স্টেইনের অভিজ্ঞতা যে কোনো ব্যাটিং অর্ডারের মাথা ব্যথার কারণ হবে। দারুণ ফর্মে থাকা লেগ স্পিনার ইমরান তাহির বোলিং আক্রমণকে আরও সাবলীল করবে। স্পিন আক্রমণ সামলাতে স্কোয়াডে রয়েছেন আরেক রিস্ট স্পিনার তারবাইজ শামসি। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণ নিয়েই প্রতিপক্ষকে বধ করার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে পেসারদের ইনজুরি প্রোটিয়া ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। ইনজুরির কারণে লুঙ্গি এনগিদি এবারের আইপিএলে খেলতে পারেননি। রাবাদা আইপিএলে খেলতে এসে ইনজুরির শিকার হয়েছেন। একই কারণে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হয়েছে ডেল স্টেইনকেও। প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ মিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে এই তিন পেসারকে ফিট ও ম্যাচের জন্য প্রস্তুত রাখা।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড বিশ্লেষণ –

ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক): ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়তে দেখেছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার খরা কাটানোর দায়িত্ব বর্তেছে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ওপর। এখন পর্যন্ত ১৩৪ ওয়ানডে খেলা ডু প্লেসিসের ওয়ানডে রান পাঁচ হাজারের ওপর। ১১টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি ফিফটির মালিক ডু প্লেসিস টপ অর্ডারে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের দেয়ালের দায়িত্ব পালন করবেন। ডু প্লেসিসের সাম্প্রতিক ফর্মও দারুণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ১১২ রান অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। রান পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও।

এইডেন মার্করামঃ মাত্র ১৮ ওয়ানডে খেলা তরুণ ওপেনার এইডেন মার্করাম অল্প সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম ভরসায় পরিনত হয়েছেন। ছোট্ট ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে ২৪ বছর বয়সী মার্করামকে।

হাশিম আমলাঃ ৩৬ বছর বয়সী হাশিম আমলা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফর্মে নেই। গত দুই বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাত্র দুটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। একই সাথে ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। আমলার বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ, যার প্রভাব পড়ছে আমলার ক্রিকেটেও। এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আমলাকে রাখা নিয়েও বেশ সমালোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ আমলার প্রমাণ করার আছে অনেক কিছু। ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত সদস্য আমলার সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ১৭৪ ম্যাচ খেলে প্রায় ৫০ গড়ে প্রায় আট হাজার রান করেছেন তিনি। ২৭টি সেঞ্চুরির সাথে ৩৭টি ফিফটির মালিক এই অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সূচনা করতে দেখা যাবে তাঁকে।

কুইন্টন ডি ককঃ অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ওয়ানডেতে শেষ ছয় ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তিনটি ফিফটিই আশি ছাড়িয়েছে। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি বিধ্বংসী ওপেনার। ১০৬ ম্যাচ খেলে ৪৫ গড়ে ৪৬০২ রান করা ডি কক ১৪ সেঞ্চুরি ও ২১ ফিফটির মালিক।

ডেল স্টেইনঃ দীর্ঘদিন ইনজুরির সাথে লড়াই করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন। গত বছর অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে দুই বছর পর রঙিন জার্সিতে ফিরেছেন তিনি। রঙিন জার্সিতে নিয়মিত উইকেটের দেখা পাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে নতুন বলে সুইং ও গতির মিশেলে প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছেন নিয়মিত। বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চের নিজের সেরা পারফর্মেন্সটা জমিয়ে রাখতে চাইবেন তিনি।

কাগিসো রাবাদাঃ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিশ্বকাপ মিশনের অন্যতম তারকার নাম কাগিসো রাবাদা। এই তরুণ ফাস্ট বোলারকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার বললে ভুল হবে না। ইনিংসের শুরুতে ও শেষে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ভয়ের কারণ হতে পারেন তিনি। ৬৬ ওয়ানডে খেলা রাবাদা ইতিমধ্যেই ১০৬ উইকেটের মালিক। বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ডেল স্টেইনের সাথে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে তাঁকে।

লুঙ্গি এনগিদিঃ ২০১৮ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার লুঙ্গি এনগিদি। ১৮ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারেই প্রোটিয়া দলের অন্যতম সদস্য বনে গেছেন তিনি। ইতিমধ্যে দুইবার চার উইকেট শিকার করেছেন তিনি। গতি ও বাউন্স এনগিদির বড় শক্তি। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে যথেষ্ট কার্যকরী বোলার হতে পারেন এনগিদি।

জেপি ডুমিনিঃ ২০১৯ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ডুমিনির শেষ বিশ্বকাপ, আগাম ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে প্রোটিয়া মিডেল অর্ডারের অন্যতম ভরসার নাম ৩৫ বছর বয়সী ডুমিনি। দেশের হয়ে ১৯৪ ম্যাচ খেলে ৫০৪৭ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। নামের পাশে আছে ২৭টি ফিফটিও।

ডেভিড মিলারঃ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এই বাঁহাতি হার্ড হিটার। লোয়ার মিডেল অর্ডারে দ্রুত রান তোলার দায়িত্বটা নিতে হবে মিলারকেই। নিজের দিনে যে কোনো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে রান বন্যা বইয়ে দিতে সক্ষম তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ মিলার এখন পর্যন্ত ১২০ ওয়ানডে খেলেছেন। ১০০ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে প্রায় তিন হাজার রান করেছেন তিনি। ৫ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটির মালিক তিনি।

ক্রিস মরিসঃ মাত্র ৩৪ ওয়ানডে খেলা ক্রিস মরিসের সামর্থ্য অলরাউন্ড সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু ধারবাহিকভাবে পারফর্ম না করায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না ৩২ বছর বয়সী এই বোলিং অলরাউন্ডার। প্রথম পছন্দ হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া তরুণ ফাস্ট বোলার এনরিক নরকিয়া অনুশীলনে হাতের তালুর ইনজুরির শিকার হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁর বদলী হিসেবে সুযোগ মিলেছে মরিসের। ৩৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেটের মালিক মরিস বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবেন।

ইমরান তাহিরঃ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অন্যতম সদস্যর নাম ইমরান তাহির। বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনারদের একজন তিনি। ৪০ বছর বয়সী তাহির এখন পর্যন্ত ৯৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২৪ গড়ে ১৬২ উইকেটের মালিক তিনি। মিডেল ওভারে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে তাহিরকে ব্যবহার করতে চাইবেন ফাফ ডু প্লেসিস।  

তাবরাইজ শামসিঃ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ইমরান তাহিরের ব্যাক আপ হিসেবে রাখা হয়েছে চায়নাম্যান তাবারাইজ শামসি। মাত্র ১৫ ওয়ানডে খেলা শামসি ছোট্ট ক্যারিয়ারে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন। ১৯ উইকেটের মালিক শামসি ইতিমধ্যে একবার চার উইকেট পেয়েছেন। বিশ্বকাপে কোনো কোনো ম্যাচে তাহির এবং শামসি, দুইজনকেই দক্ষিণ আফ্রিকার মূল একাদশ দেখা যেতে পারে, কন্ডিশনের বিচারে।

আন্দাইল ফেহলুকায়োঃ আন্দাইল ফেহলুকায়ো গত দুই বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত সদস্য। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত ৪৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। ব্যাটে বলে ধারাবাহিক পারফর্মার তিনি। ব্যাট হাতে দ্রুত রান তোলায় পটু ফেহলুকায়োকে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের সাত নম্বরের সমাধান বলা যায়। ৪৩ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ব্যাট করে প্রায় পাঁচশ রান করেছেন তিনি। একটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইতিমধ্যেই। বল হাতে উইকেট সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে এই ডানহাতি পেসারের।

ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসঃ ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের। তবে দলে ধারাবাহিক হয়েছেন গত ছয় মাসে। এখন পর্যন্ত ১৯টি ওয়ানডে খেলা প্রিটোরিয়ার নাম কুড়িয়েছেন নিজের বোলিংয়ের কারণে। ১৯ ম্যাচে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন এই ফাস্ট বোলার। তবে ব্যাট হাতেও কম যান না তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট করার সুযোগ খুব একটা পান নি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল তিনি। বিশ্বকাপে মূল একাদশে সুযোগ পেলে অলরাউন্ড সামর্থ্য দেখাতে চাইবেন প্রিটোরিয়াস।

রাসি ফন ডার ডাসেনঃ ৩০ বছর বয়সী রাসি ফন ডার ডাসেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। এরপর থেকে পেছনে ফিরে থাকাতে হয় নি তাঁকে। ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ব্যাট করে ৪টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে ডার ডাসেনের দিকে আলাদা নজর থাকবে প্রতিপক্ষ দল গুলোর। স্পিন ও পেসে সমান সাবলীল এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হতে পারে এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার চমকের নাম।