কোচিং

খেলা ও কোচিং চলবে সমান্তরালে

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 17:27 বৃহস্পতিবার, 02 মে, 2019

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

পেশাদার ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লেভেল ওয়ান কোচিং কোর্স করে রাখছেন শাহরিয়ার নাফিস, আব্দুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলামদের মতন পরীক্ষিত ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেটাররা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই প্রাথমিক পর্যায়ের কোচিং প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশেও একই ধারা শুরু হল।

বিসিবির গেম ডেভলপমেন্টের অধীনে লেভেল ওয়ান কোচিংয়ের বিশেষ কর্মশালা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালা চলবে আগামী ৬ মে পর্যন্ত। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে ২৭ জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে আছেন ১৬ জন জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ৭ জন ক্রিকেটার লেভেল ওয়ান কোচিংয়ের প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে। 
 
মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস সহ আব্দুর রাজ্জাক, ইলিয়াস সানি, আরাফাত সানি, ও নাঈম ইসলামের মতো জাতীয় দল মাতানো ক্রিকেটাররা কোচিং প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছেন। ইংল্যান্ডে লেভেল টু কোর্স করা আশরাফুলও আজকের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছেন।

'অবশ্যই ভালো। এখন আমাদের কোন খেলা নেই। এখানে ১২-১৩ জনের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে খেলেছে এবং এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তাঁদের পারফর্মেন্সে উন্নতি করার জন্য এই ধরণের কোর্স করা উচিৎ। আমাদের চিন্তা ভাবনা আসলে নেতিবাচক। ভাবা হয় এখানে আসলে বোধহয় খেলা ছেড়ে কোচিং পেশায় যোগ দিচ্ছে।

'আপনি যদি ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলতে যান, ক্লাব কিংবা কাউন্টি খেলতে যান তাহলে আপনাকে লেভেল টু করতেই হবে। এই কোর্স জানলে আপনি উন্নতি করতে পারবেন। যারা এই কোর্সটা করছেন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো। কোচিং পেশায় আসতে হলে আপনাকে এই লেভেল পার করে আসতেই হবে। এটা যদি আগে থেকেই করে ফেলা যায় তাহলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা উন্নতি পাবে,' বলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।

ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, 'অফ সিজন যাচ্ছে যেহেতু বিসিবি লেভেল ওয়ান কোচের প্রশিক্ষণটা দিচ্ছে সেহেতু কিছু জ্ঞান নেয়ার জন্যই এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া। ভবিষ্যতে যদি ক্রিকেটের কোচিং পেশায় থাকতে চাই তাহলে এই কোচিংটা লাগবে। যেহেতু সুযোগ পেয়েছি আগে ভাগেই করে রাখছি। একটা রাস্তা খুলে গেল আর কি। কিছু মৌলিক জ্ঞান আছে যেগুলো আমরা ট্রেইনিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারব। 

'হয়ত খেলার মধ্যে ব্যবহার করা যাবে। আমরা যখন ক্রিকেট খেলে থাকি তখন হয়ত এই মৌলিক জ্ঞান গুলোয় আমরা মনোযোগী হই না। এখানে হয়ত নতুন কিছু জিনিস জানতে পারব যেগুলো খেলার মধ্যে কাজে লাগবে। আসলে এখনই খেলা শেষ নিয়ে একদমই ভাবছি না। ফর্ম ফিটনেস ঠিক থাকলে আরও চার পাঁচ বছর খেলার ইচ্ছা আছে।'

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাট চুকিয়ে ফেলা নাজমুল হোসেন, সৈয়দ রাসেল, রবিউল ইসলাম শিপলুর মতন সাবেক পেসারদের জন্য লক্ষ্যটা ভিন্ন বলা চলে। কোচিংয়েই ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য তাদের। নাজমুল হোসেন ইতিমধ্যে প্রিমিয়ার লীগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেছেন, 'বিসিবিকে ধন্যবাদ এমন একটা প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য। আসলে খারাপ লাগতেছে খেলা ছেড়েছি, তবে এই কোচিংটা বিশেষ করে আমার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কিছু শেখার আছে। মাঠে ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু এই লেভেল ওয়ানের কোচিং অনেক কাজের। বিশেষ করে আমার কোচিং ক্যারিয়ারে অনেক কাজে দিবে।

'খুবই মৌলিক একটা প্রোগ্রাম। ছোট বেলায় যা শিখেছি সেগুলোই মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিছু ছোট ছোট জিনিস আছে যেগুলো আমরা প্র্যাক্টিক্যালি জানি কিন্তু এর ভেতরের জিনিসগুলো আরও ভালোভাবে জানা যাবে এই কোচিংয়ের মাধ্যমে।'

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা কোচিং ক্যারিয়ারে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস সৈয়দ রাসেলের। 'যারা এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় তাহলে তারা যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভূমিকা রাখে তাহলে এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটে উন্নতি আনবে। কারণ এখানে যারা আছে তাঁরা অনেকেই অভিজ্ঞ। এটা যদি শেয়ার করা যায় তাহলে অবশ্যই এটা ক্রিকেটের জন্য অনেক ভালো।'