ডিপিএল

সৌম্যর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:01 মঙ্গলবার, 23 এপ্রিল, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

শেখ জামাল ধানমন্ডিঃ ৩১৭/৯ (৫০ ওভার) (তানবির-১৩২*, সানি-৪৫*; মাশরাফি-৪/৫৬, সৌম্য-১/৪৭)

আবাহনী লিমিটেডঃ ১৬৯/০ (২৬ ওভার) (জহুরুল-৬৪*, সৌম্য-১০২*; মেহরাব-০/৩৫, নাসির-০/৩৩) 

টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি সৌম্যরঃ লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বিপক্ষে ৭৯ বলে ১০৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পর আজ শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষেও মারমুখী ভঙ্গীতে ব্যাটিং করছেন আবাহনীর ওপেনার সৌম্য সরকার।

৫২ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন তিনি। ৮টি ছয় এবং ৮টি চারের সাহায্যে মাত্র ৮১ বলে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। প্রথম পঞ্চাশ রান করতে ৫২ বল নিলেও পরবর্তী পঞ্চাশ মাত্র ২৯ বলে করেছেন তিনি। 

জহুরুলের পর সৌম্যর হাফসেঞ্চুরিঃ দারুণ ব্যাটিং করে এরই মধ্যে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম এবং সৌম্য সরকার। 

দারুণ সূচনা আবাহনীরঃ শেখ জামালের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং জহুরুল ইসলামের ব্যাটে দারুণ সূচনা করেছে আবাহনী। এরই মধ্যে দলকে পঞ্চাশ রান পার করিয়েছেন তারা। 

এর আগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩১৭ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আর এই পাহাড়সম রানের পেছনে মূল কৃতিত্ব ছিল অলরাউন্ডার তানবির হায়দারের।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে ১১৫ বলে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। যেখানে হাঁকিয়েছেন ৬টি ছয় এবং ১০টি চার। তানবির ছাড়া ইলিয়াস সানি ৪৫, মেহরাব হোসেন ৪৪ এবং ওপেনার ফারদিন হাসান ৩৪ রান করেছেন। 

আবাহনীর পক্ষে আজ দারুণ বোলিং করেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১০ ওভার বোলিং করে ৫৬ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।  

সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটিতে শুরুতে টসে জিতে আবাহনীর বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

তবে এরপর ব্যাটিং করতে নেমে আবাহনীর বোলিং তোপে মাত্র ৮৫ রানের মাথায় ৫ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে তারা। তবে এরপরেই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তানবির হায়দার। ইলিয়াস সানিকে সাথে নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন তিনি। 

১৭৬ রানের মাথায় সানিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙ্গেছিলেন আবাহনীর পার্ট টাইম বোলার সৌম্য সরকার। সানি ফিরলেও পরবর্তীতে মেহরাব হোসেনকে সাথে নিয়ে ৯৮ রানের আরেকটি বিশাল জুটি গড়েন তানবির। ২৭৪ রানের সময় মেহরাবকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন মাশরাফি।

এরপরে অবশ্য কিছুটা ছন্দ পতন হয়েছিল শেখ জামালের। ২৭৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিলো দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত আর সেই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি তাদের। কারণ ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে বড় পুঁজি এনে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন দোলেশ্বরের বিপক্ষে গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানো তানবির।