বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ

মুশফিকের সামনে বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:24 সোমবার, 12 নভেম্বর, 2018

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ৪৭০/৭ (১৫০ ওভার)

(মুশফিক ১৯৫*; মিরাজ ৪০*; জার্ভিস ৫/৭১)

বিশ্বরেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে মুশফিকঃ-

আরিফুল ফিরে গেলেও মেহেদী মিরাজের সঙ্গে দলের রান বাড়িয়ে চলেছেন মুশফিক। নিজ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে আছেন তিনি। এই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে গেলে দারুণ এক রেকর্ড গড়তে পারবেন তিনি।

আর তা হচ্ছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাবেন তিনি। ইতিপূর্বে সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা অনেকগুলো ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন নিজের ক্যারিয়ারে, তবে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে করেছিলেন মাত্র একটি।

মুশফিকের দেড়শঃ-

সকাল থেকেই সতর্ক হয়ে খেলা মুশফিক এদিনে দেড়শ রান তুলে নিয়েছেন। তিরিপানোর বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মাসাকাদজার মাথার উপর উড়িয়ে দিয়ে দেড়শ রান পূর্ণ করেন তিনি। তার একটু পরেই দলীয় চারশ রানের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। 

জারভিসের পঞ্চম উইকেটঃ-

১৮ বল খেলে ১৬ টিই ডট নিয়েছিলেন আরিফুল হক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি চার রান করা আরিফুলকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট শিকার করে নিয়েছেন জারভিস। 

উইকেট পতনের আগের ওভারে ক্যাচ মিস হয়েছিল মুশফিকের। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ।

জুটি ভাঙলেন জারভিসঃ-

লাঞ্চের এক ওভার পরেই মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর ৭৩ রানের জুটিটি ভেঙে গেল। ১১০ বল খেলে ৩৬ রান করা মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়েছেন কাইল জারভিস। উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন মাহমুদুল্লাহ। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান আরিফুল হক।

আত্মবিশ্বাসী মাহমুদুল্লাহঃ-

দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। টেস্ট দলে যার ব্যাটিং নিয়ে এতো প্রশ্ন ছিল, তিনিই প্রথম সেশন সামলাচ্ছেন শক্ত হাতে।

কাইল জার্ভিস ও ব্র্যান্ডন মাভুটাদের যেসব বল ছেড়ে খেলার সেসব খুব সুন্দর করেই ছেড়ে দিচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ। ৩৩ স্ট্রাইক রেটে খেলে অপরপ্রান্তের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিয়ে চলছেন তিনি।
 
প্রথম সেশন নিরাপদেই পার করলো টাইগাররা। দিনের প্রথম ৩০ ওভারে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ মিলে তুলেছেন ৬২ রান। টাইগারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এই সময়টায় উইকেট হারায়নি দল।

মাঠ ছেড়েছেন চাতারাঃ-

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আক্রমণে দেখা যায় দুই জিম্বাবুয়ে পেসার কাইল জারভিস এবং টেন্ডাই চাতারাকে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট না নিতে পারলেও নতুন বলে দারুণ আগ্রাসী দুই জিম্বাবুয়ে পেসার।

তবে ইনিংসের একশ তম ওভারে (৯৯.২) বাম পায়ের উরুতে টান খেয়েছেন চাতারা। স্ট্রেচারে মাঠও ছেড়েছেন তিনি। তাঁর অসমাপ্ত ওভার শেষ করেছেন ডোনাল্ড তিরিপানো। 

ম্যাচের প্রথম দিনের বিবরণঃ-

সিরিজে ১২০ ভাগ দিয়ে ফিরে আসার প্রত্যয়ে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনেই ২৬ রানে তিনটি মূল্যবান উইকেট হারিয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকে টাইগাররা। 

দুই ওপেনার লিটন ফেরেন নয় রানে এবং ইমরুল কায়েস শুন্য রানে। এরপরে খুব বাজে শট খেলে টেস্ট অভিষেকেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। 

তারপরেই হাল ধরেন মমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে গড়েন ২২৬ রানের বিশাল জুটি। জুটি ভেঙেছেন জিম্বাবুয়াইন পেসার টেন্ডাই চাতারা। 

১৯ টি চারে ১৬১ রান করে মমিনুল ফিরে গেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে উইকেটে আসেন তাইজুল ইসলাম। তবে দিনের এক ওভার বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আবার হাসি বয়ে আনেন পেসার কাইল জার্ভিস। 

নাইট ওয়াচম্যান তাইজুলকে ফেরত পাঠান ৪ রানে। মমিনুল টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক তুলে নেয়ার পরে আরেক প্রান্তে মুশফিকুর রহিমও তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক।

শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান সংগ্রহ করে প্রথম দিন শেষ করেছে টাইগাররা। নতুন দিন শুরু করবেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম (১১১*) এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ একাদশঃ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ 

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চেরি, ব্র্যান্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাভা, ডোনাল্ড তিরিপানো, কাইল জার্ভিস, ব্র্যান্ডন মাভুটা, টেন্ডাই চাতারা।