বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল টাইগাররা

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 22:26 রবিবার, 21 অক্টোবর, 2018

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

বাংলাদেশঃ

২৭১/৮ (৫০ ওভার) ইমরুল ১৪৪, সাইফুদ্দিন ৫০ 

কাইল জারভিস ৪/৩৭

জিম্বাবুয়েঃ ২৪৩/৯ ৫০ ওভার 

উইলিয়ামস ৫০, জার্ভিস ৩৭ 

মিরাজ ৩/৪৬

হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইমরুল কায়েসের ১৪৪ রানের উপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে ২৭২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। ফলে ২৮ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা। 

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল জিম্বাবুয়ে। মাশরাফি এবং মিরাজের বিপক্ষে হাত খুলে খেলে দলকে ৭ ওভারে ৪৮ রান এনে দেন ওপেনার জুহাইয়ো। তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই জুহাইয়ো'র স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।

জুহাইয়ো'র বিদায়ে দলকে বিপদ মুক্ত করতে মাসাকাদজার সঙ্গে নেমেছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানে নাজমুল ইসমাল অপুর দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

২ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার না করে উল্টো রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয়েছে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। ব্যক্তিগত ২১ রানে ২ রান নিতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইন থেকে ইম্রুল কায়েসের দুর্দান্ত এক থ্রো'তে বিদায় নেন তিনি।

উইকেটে হাল ধরে খেলার চেষ্টায় থাকা সিকান্দার রাজাকে ফের ঘূর্ণিতে পরাস্ত করে সাজঘরে পাঠান অপু। ৭ রান করে অপুর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দলীয় ১০০ রানে জিম্বাবুয়ের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আরভাইন উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

তাঁর বিদায়ে সফরকারীদের টপ অর্ডার এখন সাজঘরে। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। পিটার মুর এবং শিন উইলিয়ামস মিলে হাল ধরে খেলছিলেন দলের পক্ষে। কিন্তু এই দুইজনের ৪৫ রানের জুটিতে বাঁধ সাধেন মেহেদি হাসান মিরাজ। লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন ২৬ রান করা পিটার মুরকে। এরপরের ওভারেই ২ রান করে রান আউট হন ট্রিপিয়ানো।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট পুঁজির চেষ্টায় ২৪৩ রান করে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন শন উইলিয়ামস। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে দলীয় ১৭ রানে ২ উইকেট হারালেও ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিমের জুটিতে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬৬ রানে মুশফিক ১৫ করে ফিরলেও ইমরুল ক্রিজে টিকে থাকেন।

এরপর মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে ফিফটি তুলে নেয়ার পাশাপাশি ৭১ রানের জুটি গড়েন এই ওপেনার। কিন্তু ৩৭ রানে মিথুন ফিরলে আরও ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানো টাইগাররা রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

সাইফউদ্দিনের সঙ্গে জুটি গড়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। শতক হাঁকিয়েও থেমে যান নি এই ওপেনার। দুজনের ১০১ রানের জুটি ভাঙ্গে ইমরুলের ১৪৪ রানে বিদায়ের পর। সাইফউদ্দিনও ফেরেন ব্যক্তিগত ৫০ রানে।

শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অবদানে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস করেন সর্বোচ্চ ১৪৪ রান। কাইল জার্ভিস সফরকারীদের হয়ে নেন ৪টি উইকেট।

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে মাহমুদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম অপু, মুস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ-

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), চিপাস ঝুয়াও, ক্রেইগ আরভিন, ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্র্যান্ডন মাভুটা, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারা।